আইপিএল ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। তাঁর সাফল্যে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ভাই হার্দিক পাণ্ডিয়া। দাদাকে নিয়ে গর্বিত ভাই।
পাণ্ডিয়া পরিবারে এসেছে আরও একটা আইপিএল ট্রফি। মঙ্গলবার আইপিএল ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। তাঁর বোলিং জিতিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। দাদার সাফল্যে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ভাই হার্দিক পাণ্ডিয়া। দাদাকে নিয়ে গর্বিত ভাই।
মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্রুণালের একটি ছবি দেন হার্দিক। লেখেন, “কাঁদছি। ভাই তোমাকে নিয়ে গর্বিত।” সঙ্গে হৃদয়ের ইমোজিও দিয়েছেন হার্দিক। এ বারের আইপিএল ফাইনালে দুই ভাইয়ের লড়াই হতে পারত। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাব কিংসের কাছে হারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফলে ফাইনালে উঠতে পারেননি হার্দিকেরা। সেই হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন অধিনায়ক হার্দিক। হারের পর মাঠেই কেঁদে ফেলেন তিনি। আরও এক বার কাঁদলেন হার্দিক। তবে আগের কান্না ছিল দুঃখের। মঙ্গলবার দাদার সাফল্যে আনন্দে কাঁদলেন ভাই হার্দিক।
ফাইনালে বেঙ্গালুরুরু বিরুদ্ধে ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিল পঞ্জাব। তাদের রান তোলার গতি আটকান ক্রুণাল। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে বড় শট খেলতে পারছিলেন না পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিতে গিয়ে আউট হন প্রভসিমরন সিংহ ও জশ ইংলিস। দুটো বড় উইকেট নেন ক্রুণাল। চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। ক্রুণালই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আইপিএলের দুটো ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন।
হার্দিক ও ক্রুণালের উত্থান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। হার্দিক মুম্বইয়ের হয়ে চারটে আইপিএল জিতেছেন। ক্রুণাল তিনটে। ২০২২ সালে হার্দিক মুম্বই ছেড়ে গুজরাত টাইটান্সে যান। সেখানে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম বারই চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। পরের বার ফাইনালে উঠে রানার্স হন। গত বার মুম্বইয়ে ফেরেন তিনি। রোহিত শর্মার বদলে অধিনায়ক করা হয় তাঁকে। তবে দু’বছরে মুম্বইকে ট্রফি জেতাতে পারেননি হার্দিক।
২০২২ সালে ক্রুণালও মুম্বই ছাড়েন। তাঁকে কেনে লখনউ সুপার জায়ান্ট। সেখানে তিন বছর খেললেও ট্রফি জিততে পারেননি ক্রুণাল। এ বার তাঁকে কেনে বেঙ্গালুরু। প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এই জয়ে ক্রুণালের বড় ভূমিকা রয়েছে। ভাই হার্দিকের পাঁচটা আইপিএল ট্রফির পাশাপাশি দাদা ক্রুণাল জিতেছেন চারটে। সব মিলিয়ে ন’টা ট্রফি ঢুকেছে পাণ্ডিয়া পরিবারে।