কলকাতার হকি একটা সময়ে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং সহ অন্য দলগুলির মধ্যে দারুণ রেষারেষি ছিল। কে কাকে টেক্কা দবে তা নিয়ে লড়াই ছিল তুঙ্গে। কত হকি খেলোয়াড় কলকাতায় খেলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। ছিল ঘোড়পুলিশের তৎপরতা। আশির দশকের শেষ থেকে কলকাতা হকিতে ভাঁটা আস্তে থাকে। তা প্রায় একেবারে তলানিতে গিয়ে আছড়ে ভাঙে। সচিব গুরুবক্স সিং থাকাকালীন হকির দুরবস্থাকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস সেইভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে সচিব পদে স্বপন ব্যানার্জি আসার পরে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয় হকির উন্নতিতে। বেটন কাপ হকিতে ভিন রাজ্যের দলগুলি নিয়ে আসা হয়। হকি খেলা দেখবার জন্য দর্শকদের ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব মাঠটি নতুন করে তৈরি করে হল। খেলা হল সুনামের সঙ্গে। খেলার মাঠে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হক খেলোয়াড়দের দেখতে পাওয়া গেল। খেলোয়াড়রা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তাদের দক্ষতা প্রকাশ করতে দেখা গেল। এবারের হকি সুপার লিগের খেলা ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও বিআইচএ মাঠে তেরটি দলের লড়াই হয়ে গেল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জিএসসি আর রানার্স হয় ইস্টার্ন রেল। তবে এবারের প্রতিযোগিতায় অনেক বাংলার ছেলেদের দেখতে পাওয়া গেল বলে জানান সচিব স্বপন ব্যানার্জি।
এদিকে বাংলার হকিকে আরও উন্নয়ন করা যায় কীভাবে তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন সচিব স্বপন ব্যানার্জি ও সিএবি’র সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলার হকিকে সমৃদ্ধ করতে। আগামী মরশুমে হকিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে সৌরভ ও স্বপন বিশেষ পরিকল্পনা রূপায়ণ করবেন।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



