• facebook
  • twitter
Saturday, 19 July, 2025

আজ আইপিএলের মেগা লড়াইয়ে হার্দিক ও শ্রেয়সরা

প্রথম বাছাই পর্বের খেলায় বেঙ্গালুরু এফসি দল যেভাবে পাঞ্জাবকে কোণঠাসা করে রেখে দিয়েছে তাতে হয়তো আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে শ্রেয়স আইয়ারের ব্রিগেডে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আইপিএল ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে রবিবার রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও শ্রেয়স আইয়ারের পাঞ্জাব কিংস দল। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচের গুরুত্ব একেবারে অন্য। যে দল জিতবে, সেই দলই আগামী ৩ জুন ফাইনালে মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। অবশ্যই এই ম্যাচটা মরণ-বাঁচন লড়াই। একদিকে পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের হুঙ্কার যুদ্ধক্ষেত্রকেও হার স্বীকার করতে লড়াইয়ে নামে না। আবার মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া মনে করেন, আবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড করার জন্য অপেক্ষায় থাকব। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের কাছেই বিরাট চ্যালেঞ্জ। কোনও দলই কাউকে এতটুকু জমি ছাড়তে রাজি নয়। সেই কারণেই রবিবারের ম্যাচটির ব্যাখ্যা কেউই আগাম তুলে ধরতে পারবেন না। হয়তো অনেকেই বলবেন, মুম্বই দল আগেও বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই তাদের কাছে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে অভিজ্ঞতাই কথা বলবে। কিন্তু নতুন দল হিসেবে পাঞ্জাবের তরুণ ক্রিকেটাররা প্রতিপক্ষ দলকে ঘায়েল করার জন্য সমবেতভাবে আক্রমণে নামবেন। তীব্র উত্তেজনা প্রতিটি মুহূর্তে খেলোয়াড়দের কাছে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে।

প্রথম বাছাই পর্বের খেলায় বেঙ্গালুরু এফসি দল যেভাবে পাঞ্জাবকে কোণঠাসা করে রেখে দিয়েছে তাতে হয়তো আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে শ্রেয়স আইয়ারের ব্রিগেডে। কিন্তু সাহসী শ্রেয়স প্রথম ম্যাচে হেরে গেলেও বলেছেন, যুদ্ধ কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। যুদ্ধে বীর সৈনিকরা কীভাবে আক্রমণ গড়ে তুলতে পারে, তার ছকটা তৈরি হয়ে আছে। হোক না প্রতিপক্ষ দল মুম্বই। মুম্বইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে পাঞ্জাব জেতার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। কোনও কোনও দিন হয়তো সেইভাবে খেলা উপহার দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আহত বাঘ যখন গর্জন করে, তখন অন্যরকম চেহারা হয়ে যায়। সেই কারণেই পাঞ্জাব দলকে অবশ্যই সমীহ করে খেলতে হবে রোহিত শর্মাদের। কোচ রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে শ্রেয়াংশু ও প্রভসিমরণরা তৈরি রয়েছেন মুম্বই দলকে চাপের মুখে বেগ দিতে।

অন্যদিকে গুজরাত টাইটানসকে হারিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাঞ্জাবের সামনে দাঁড়িয়েছে। গুজরাতের খেলোয়াড়রা যেভাবে ক্যাচ মিস করার খেলায় মেতে উঠেছিলেন, তাতে প্রতিপক্ষ দল ওখানেই তো বাজিমাত করেছে। যে খেলায় একটার পর একটা ক্যাচ ফেলে দিলে বোলাররা উইকেট পাবেন কী করে? আর সেই জায়গায় ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুযোগ পেয়ে যান স্কোরবোর্ডে দলের হয়ে রান করার। সেই ঘটনাই ঘটেছে মুম্বই দলের। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ৫০ বলে ৮১ রান করেছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ক্যাচ মিস করেছেন গুজরাতের খেলোয়াড়রা। ফিল্ডিংয়ে যদি ত্রুটি থাকে, সেই ম্যাচ বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তাই গুজরাতের অধিনায়ক হেরে গিয়ে যতই চোখে জল ফেলুন না কেন, আসলে ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা তাঁকে কাঁদিয়েছে। আত্মবিশ্বাসী মুম্বই দল পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে অবশ্যই সচেতন হয়ে খেলবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে দলে সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ডিয়া, যশপ্রীত বুমরার মতো খেলোয়াড়রা থাকেন, তাদের তো বাড়তি সুবিধা থাকবেই। যশপ্রীত বুমরা যেভাবে বোলিংয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন, তাতে প্রতিপক্ষ পাঞ্জাবকে অবশ্যই চাপে ফেলবে। এখানে যদি পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা বুমরাকে রুখে প্রতিহত করতে পারে, তাহলে একধাপ এগিয়ে থাকবেন জয়ের পথে। মিচেল স্যান্টনার ও ট্রেন্ট বোল্টের মতো খেলোয়াড়রা মুম্বই দলকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার সাহসী ভূমিকা নিয়ে বলেন, ভুল কিন্তু বার বার হয় না। যে ভুলগুলো বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে হয়েছে তা শুধু শুধরে নেওয়া নয়, জেতার জন্য আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবেন ক্রিকেটাররা। দলগতভাবে আক্রমণ শানানোর জন্য অবশ্যই কোচ রিকি পন্টিং অনুপ্রাণিত করবেন শ্রেয়স ব্রিগেডকে। আবার এও দেখা গেছে, কোনও দলে তারকা খেলোয়াড়দের ভিড় বেশি হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ তরুণ ক্রিকেটারদের জেদ চেপে যায় কীভাবে তাঁদের হারাতে হবে। সেটাই এখন দেখার বিষয়। রবিবারের ম্যাচের দিকে সবার চোখ থাকবে পাঞ্জাব, নাকি ফাইনালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলবে মুম্বই?