টোকিওর উদ্যোক্তাদের অনুপস্থিতির মধ্যেই গ্রিস অলিম্পিক মশাল হস্তান্তর করল জাপানকে

গত সপ্তাহে প্রাচীন অলিম্পিয়াতে অলিম্পিকের মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়েছিল দর্শকশূন্য অবস্থায়। কারণ গ্রিসে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে।

Written by SNS Athens | March 20, 2020 4:35 pm

টোকিও অলিম্পিক ২০২০ লোগো (File Photo: IANS)

করোনাভাইরাস আতঙ্কে দুনিয়াজুড়ে অলিম্পিক স্থগিত করে দেওয়ার দাবি সোচ্চার হওয়ার মধ্যে দরজা বন্ধ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার গ্রিস অলিম্পিক মশাল তুলে দিল টোকিও অলিম্পিকের উদ্যোক্তাদের হাতে এক অনুষ্ঠানে। 

দর্শকদের অনুপস্থিতিতে অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়ন লেফতেরিস পেত্রনিয়াস মশাল হাতে একপাক দৌড়ানোর পর অলিম্পিকের পোল ভল্ট চ্যাম্পিয়ন ক্যাটরিনা স্টেফানিডি একটি কড়া প্রজ্জ্বলন করেন। 

মার্বেলে মোড়া প্যানাথেনাইক স্টেডিয়ামে যেখানে ১৮৯৬ সালে আধুনিক অলিম্পিকের সূচনা হয়েছিল সেইখানে এই সূচনা অনুষ্ঠান হয়। 

তারপর মশালটি টোকিও অলিম্পিকের প্রতিনিধি নাওকো ইমোতোর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে এই সাঁতারু জাপানের হয়ে আটালান্টা অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ইউনিসেফের একজন প্রতিনিধি এবং এখন গ্রিসে থাকেন। তাই তাঁকে জাপান থেকে উড়ে আসতে হয়নি। গ্রিসের প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা শেকেলারপো এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রাচীন অলিম্পিকে মূল মন্ত্রই ছিল সৌভ্রাতৃত্ব, শুভেচ্ছা ও শান্তির বার্তা দেওয়া। এখন এই অস্ত্রই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে হবে। 

গত সপ্তাহে প্রাচীন অলিম্পিয়াতে অলিম্পিকের মশাল প্রজ্জ্বলন করা হয়েছিল দর্শকশূন্য অবস্থায়। কারণ গ্রিসে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে। গ্রিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, অতি দুঃখের ঘটনা যে কোভিড ১৯ দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এবং প্রাথমিক পরিকল্পনা পাল্টে ফেলতে হয়েছে। এর জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। যারা গ্রিসে আসতে পারলেন না এবং আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। 

বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে টোকিও অলিম্পিকের উদ্যোক্তারা অনুপস্থিত ছিলেন। গ্রিসের কর্তৃপক্ষ মশাল দিয়ে দৌড় তাদের দেশে বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ গত সপ্তাহে স্পার্টাকে কড়াই প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে হলিউড তারকা জেরার্ড বাটলার উপস্থিত থাকায় জনতা তাকে ঘিরে ফেলার পরই গ্রিসের মশাল নিয়ে দৌড় বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোভিড ১৯ বা করোনাভাইরাসে বিশ্বে দুই লাখেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ১৫০’টিরও বেশি দেশে মোট মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছড়িয়ে গিয়েছে। গ্রিসে এর আগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও একজনের মৃত্যুর খবর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন।