চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দল ১৮৪ রানে হার স্বীকার করে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। সেই হারের পরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে যশস্বী জয়সওয়ালের আউট। এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান সুরিন্দর খান্না এই আউটকে কোনও ভাবেই মেনে পারেননি। আবার সেই সঙ্গে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকারাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
গাভাসকার মনে করেন, যশস্বীকে আউট দেওয়া উচিত হয়নি তৃতীয় আম্পায়ারের। সুরিন্দর বলেন, “আম্পায়ার নট আউট দিয়েছিলেন। ফিল্ডিং দল রিভিউ নেয়। স্নিকোমিটার রয়েছে। কিন্তু গাভাসকার বলেন, তিনি বলের কোনও দিক পরিবর্তন দেখতে পাননি। কিন্তু খালি চোখে দেখা গিয়েছে বলটা অন্তত ১৫-১৭ ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছে। যশস্বীর গ্লাভসে লেগে বলের গতিও কমে যায়। যে কারণে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিকে সামনের দিকে লাফ দিতে হয়। স্নিকোমিটার কিছু না দেখালেও এক জন উইকেটরক্ষক হিসাবে বলছি, যশস্বীর গ্লাভসে বল লেগেছিল।”
Advertisement
যশস্বী আউট নিয়ে গাভাসকার বার বার বলছেন, ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার। সুরিন্দর বলেন, “এক সময় অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো ক্রিকেটাররাও আউট হলে নিজেরাই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতেন। যশস্বী বলেছিলেন, ওর গ্লাভসে বল লাগেনি। কিন্তু স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, বল গ্লাভসে লেগেছে। গাভাসকার বলছিল, স্নিকোমিটার যখন আউট দেখাচ্ছে না, তখন ওটা নট আউট। ও নিজেও কখনও ব্যাটে বল লেগে কিপারের হাতে গেলে মাঠ ছাড়তেন না। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় আমি এক বার জিজ্ঞেস করেছিলাম গাভাসকারকে, আমি অন্তত ১৫ বার তোমাকে উইকেটের পিছনে আউট করেছি।
Advertisement
এর মধ্যে মাত্র ৪ বার আউট হয়েছ। বাকি ১১ বার কী হয়েছিল? গাভাসকার তখন হাসতেন। ও বলতেন, ‘আমি নট আউট থাকলেও আম্পায়ার অনেক সময় আউট দিয়েছে। তাই আমি কখনও নিজে থেকে ক্রিজ় ছাড়ি না।’ কিন্তু এটা ঠিক নয়।” তাহলে আম্পায়ারদের দোষ দিয়ে কিলাভ! যদি আম্পায়ার কোনও ভুল করেন তাহলে ক্রিজ ছেড়ে আসতে হয় এটাই হলো খেলোয়াড়চিত মনোভাব। একজন আদর্শ ক্রিকেটারকে দেখে তরুণ ক্রিকেটাররা স্বপ্ন দেখেন।
Advertisement



