আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সিএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভা। তার আগেই সিএবি চত্বরে নানা দুর্নীতি এবং নানা অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি এই প্রথম বিভিন্ন জেলা সফর করে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, সিএবি জেলাস্তরে ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে চায়। আবার ভিনরাজ্যের খেলোয়াড়দের এনে বাংলার ক্রিকেট ময়দানকে ভরাট করে তোলা হচ্ছে। এই অভিযোগে কর্মকর্তারা বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে আধার কার্ড তৈরি করে বাংলায় খেলার নিশ্চিত করে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছেন। এই ধরনের অভিযোগের পাশে আর্থিক কেলেঙ্কারি বড় করে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির যে অভিযোগ উঠেছে, তা সিএবি’র ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার প্রবীর চক্রবর্তী ও দেবব্রত দাসের নামেও অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তী পদক্ষেপে দেখা গিয়েছে, দেবব্রত দাসের ছেলে দেবনিক দাসের বিরুদ্ধেও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে অম্বরীশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সিএবি’তে জবাব জমা পড়েছে সিএবিতে। তবে এ বিষয়ে অম্বরীশ নিজেও কোনওরকম কথা বলেননি। সিএবি’তে চিঠিটা দিয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। আগেই দেখা গিয়েছে, আজহারউদ্দিনের সঙ্গে অম্বরীশের চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজহারউদ্দিনের নামটাও চলে এসেছে। অম্বরীশ হলেন সিএবি’র স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ কমিটির সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যের উঠতি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসে এসেছে। এই অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী সুমন কীর্তিনিয়া। অম্বরীশের সঙ্গে আজহারউদ্দিনের গভীর সম্পর্ক রয়্ছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
আজহারউদ্দিন চিঠিতে লিখেছেন, ‘অম্বরীশের সঙ্গে আমি একসঙ্গে ক্রিকেটের সেবা করেছি, যতদূর সম্ভব হয়েছে। উঠতি দরিদ্র ক্রিকেটারদের যাতে জার্সি, খাবার এবং অনুশীলনে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তাই টাকা তোলা হয়েছে। অম্বরীশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগে কলকাতা ময়দানের হাই কোর্ট ক্লাবের নাম উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আজহারউদ্দিন জানিয়েছেন, গত ক্রিকেট মরসুমে এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অম্বরীশ। হাই কোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে উন্নতি হয়, সেই কারণেই তাঁরা দু’জন টাকা তুলেছেন এবং ক্লাবকে তা দিয়েছেন। এই টাকা অম্বরীশের জন্য নয়, দেবনিক দাসের জন্যও নয়। সেখানে লেনদেনের ব্যাপারেও কথা উঠেছে। তবে, আজহারউদ্দিন কোনওভাবেই স্বীকার করে বলেন, তিনি যে টাকা তুলেছেন, তা অনলাইনে অম্বরীশের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছেন।
Advertisement
আজহারউদ্দিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে অম্বরীশের ব্যক্তিগত কথোপকথন কীভাবে প্রকাশ্যে এল, তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, কলকাতা ময়দানে অধিকাংশ ক্লাব এইভাবে অনুদানে নির্ভর করে থাকে। এটা দুর্নীতি হতে পারে না। অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লাগানো ঠিক হবে না। তাঁর সততা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাই সিএবি’র কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হোক।
Advertisement



