• facebook
  • twitter
Friday, 7 November, 2025

ত্রিপুরার সঙ্গে ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে

কোনও উইকেট পেলেন না শামি

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বাংলা পুরো পয়েন্ট নিয়ে ত্রিপুরা থেকে ফিরে আসবে, এমনই ভাবনা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হল না। পরপর দুটো ম্যাচে উত্তরাখণ্ড ও গুজরাতকে হারিয়ে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল বাংলা। কিন্তু ত্রিপুরার সঙ্গে লড়াই করে সেই জায়গায় পৌঁছতে পারল না বাংলা। এমনকি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়াও সম্ভব হল না। সেই কারণে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল মহম্মদ শামিদের। প্রথম দুই ম্যাচে ১৫টি উইকেট শামি পেলেও ত্রিপুরার বিরুদ্ধে তাঁর নামের পাশে কোনও উইকেট লেখা হল না।

ত্রিপুরার বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানে সবাই আউট হয়ে যান বাংলার। তৃতীয় দিনের শুরুটা বাংলার বিরুদ্ধে সেইভাবে ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারেনি ত্রিপুরা। কিন্তু যখন হনুমা বিহারি নিজের হাতে ম্যাচটা তুলে নিয়ে সেভাবে শক্ত হাতে ব্যাট করতে থাকেন, তখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, বাংলা কঠিন লড়াইয়ে পড়ে গেছে। ত্রিপুরা একটা সময় পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৩ রান করেছিল। তার কিছুক্ষণ বাদে আরও একটা উইকেটের পতন ঘটে। তখন ত্রিপুরার রানসংখ্যা ৬ উইকেটে ৯৩। তখন থেকেই বলা হয়েছিল, হয়তো ত্রিপুরার ইনিংস খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাবে এবং বাংলা বোনাস পয়েন্ট পাবে। কিন্তু এই ভাবনা সার্থক রূপ পেল না। হনুমা ও বিজয় শঙ্করের পার্টনারশিপ সেই আশাকে ভেস্তে দেয়। তৃতীয় দিনের শেষে হনুমা ১২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। যখন মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে তিনি আউট হন, তখন ত্রিপুরা বাংলা থেকে মাত্র ১৬ রানে পিছিয়ে ছিল।

বাংলার দরকার ছিল ৩ পয়েন্টের জন্য আরও দু’টি উইকেট। কিন্তু বাংলার বোলাররা সেই দু’টি উইকেট নিতে পারলেন না। যার ফলে ৩ পয়েন্ট পাওয়া বাংলার পক্ষে সম্ভব হল না। হনুমা প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়ার পরে ত্রিপুরার অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন। ত্রিপুরা ৩৮৫ রানে অল আউট হয়ে যায়। মণিসঙ্কর ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ১০ নম্বরে নামা রানা দত্ত ২৭ রান করেন। সারা ইনিংসে মহম্মদ শামি ২৫ ওভার বল করলেন। কিন্তু একটা উইকেটও পেলেন না। ৭৬ রান দিলেন। মহম্মদ কাইফ চারটি উইকেট পেয়েছেন। তিনটি উইকেট পেলেন ঈশান পোড়েল। দুটো উইকেট পেয়েছেন রাহুল প্রসাদ। আর একটি উইকেট পান শাহবাজ আহমেদ। তবে, বৃষ্টির ফলে দুইদিনে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলার ফিল্ডিং এত দুর্বল ছিল যার ফলে ক্যাচ মিস করার প্রতিযোগিতা দেখতে পাওয়া গেছে। বাংলার অধিনায়ক অভিষেক পোড়েলরা প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে পিছিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বাংলা ৩ উইকেটে ৯০ রান তুলে খেলা অমীমাংসিত রাখে।