• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

টম্যাটো,ক্যাপসিকাম সহ সবজি চাষে আয় ২৬ কোটি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্নের দাবিতে বাকরুদ্ধ ইডি

নিজস্ব প্রতিনিধি– নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বহুদূর৷ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য৷ জেরা করে তাদের আয়ের উৎস জেনে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন ইডি কর্তারা৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে ধৃত প্রসন্ন রায়কে জেরা করে তাজ্জব হয়ে গেলেন আধিকারিকরা। প্রসন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ২৬ কোটি

নিজস্ব প্রতিনিধি– নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বহুদূর৷ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য৷ জেরা করে তাদের আয়ের উৎস জেনে বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন ইডি কর্তারা৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে ধৃত প্রসন্ন রায়কে জেরা করে তাজ্জব হয়ে গেলেন আধিকারিকরা। প্রসন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ২৬ কোটি টাকা নাকি আয় হয়েছে জমিতে চাষ করে৷ এমনকি কী কী চাষ করেছেন সেই ফসলের নামও জানিয়েছেন৷ ইডি প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে এইসব তথ্যই উল্লেখ করা হয়েছে৷ তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্নের দাবি একেবারেই মানতে নারাজ ইডি৷ প্রসন্নের সেই দাবি কেন বাস্তবে সম্ভব নয়, তা উল্লেখও করা হয়েছে চার্জশিটে৷

ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, এসএসসি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে জানিয়েছে যে, জমিতে নারকেল, সর্ষে, বিন্স, পেঁপে, কলা, ক্যাপসিকাম, আখ, টম্যাটো সহ একাধিক সবজি চাষ করে তিনি গত কয়েক বছরে ২৬ কোটি টাকা আয় করেছেন৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রসন্নের নামে মোট ৯১টি সংস্থা রয়েছে৷ এই সংস্থার অধীনে কেনা রয়েছে সাত কাঠা করে জমি৷ সেই সব জমিতেই চাষ করে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করেছেন বলে দাবি প্রসন্নর৷ তিনি দাবি করেছেন, চাষ করে যে টাকা রোজগার হয়েছে, সেই টাকাই নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন৷ এমনকি স্থানীয় চাষিদের মজুরির ভিত্তিতে জমিতে কাজও করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রসন্ন৷ তবে ইডি এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ৷ কারণ হিসাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে যে, প্রসন্ন যে জমিতে চাষের কথা উল্লেখ করেছে, তাতে কোনও চাষ হয়নি৷ ২৬ কোটি আয় তো দূরের কথা৷ এমনকি প্রসন্ন নিজের দাবির সপক্ষে যুক্তি বা প্রমাণও দিতে পারেনি৷

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে প্রসন্ন ও তাঁর স্ত্রী কাজল সুনি রায় এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট৷ সিবিআই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল৷ সেখান থেকেই উঠে এসেছে বহু তথ্য৷ সেই তথ্য ধরেই ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে৷ এমনকি আয়ের অন্য কোনও উৎস না থাকা প্রসন্নের স্ত্রী কাজলের অ্যাকাউন্টে দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে৷ ইডির অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা প্রসন্ন এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাগ করে রেখেছিলেন৷ সেজন্য দুর্নীতি ঢাকতে চাষবাসের কথা জানিয়েছে প্রসন্ন৷

Advertisement

Advertisement