• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

ছাত্রীকে অশ্লীল বার্তা পাঠানোর অভিযোগে সাসপেন্ড স্কটিশচার্চের অধ্যাপক

অভিযুক্ত অধ্যাপক শারীরশিক্ষা বিভাগের এক ছাত্রীকে সমানে নানা অশালীন বার্তা পাঠাতেন হোয়াটস্যাপ মারফৎ। দিতেন অশ্লীল প্রস্তাবও। গত জুন মাস থেকে ওই ছাত্রী এই ঘটনার শিকার।

স্কটিশচার্চ কলেজের বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।

কলেজছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল বার্তালাপের অভিযোগে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল কলেজের পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অধ্যাপক শারীরশিক্ষা বিভাগের এক ছাত্রীকে সমানে নানা অশালীন বার্তা পাঠাতেন হোয়াটস্যাপ মারফৎ। দিতেন অশ্লীল প্রস্তাবও। গত জুন মাস থেকে ওই ছাত্রী এই ঘটনার শিকার। তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে জানান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ওই অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এমন কী, তাঁকে ডেকে এই ব্যাপারে সাবধানও করা হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।
গত বুধবার ওই ছাত্রীকে পাঠানো অশালীন চ্যাট ‘ভাইরাল’ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবরোধ-বিক্ষোভের পথ নেন পড়ুয়ারা। কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান শুরু করেন তাঁরা। ঘেরাও করা হয় কলেজের প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপালকে। পড়ুয়ারা জানান, ‘শারীরশিক্ষা বিভাগের ওই অধ্যাপকের কাজ ছিল একটু আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের টার্গেট করে তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো এবং কুপ্রস্তাব দেওয়া। একজন নয়, একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে তিনি এই কাজ করেছেন। বিষয়টি সামনে আসার পর অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ। আমাদের জবাব চাই, কর্তৃপক্ষ আদৌ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’
থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয় অভিযুক্ত অধ্যাপকের নামে। এই ঘটনাপ্রবাহের জেরে ওই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এর আগেও এরকম ঘটনা সামনে এসেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষাক্ষেত্রের বহু অধ্যাপকই ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। সেরকমই আরও এক ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগর।

Advertisement

Advertisement