বর্ষা শুরু হতে চলেছে কলকাতায়, আর সেই সঙ্গে ডেঙ্গির আশঙ্কা নিয়েও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গির প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। ৬৮টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার বর্ষার আগেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বোরো ভিত্তিক জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সোমবার জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই সচেতনতামূলক প্রচার চালু হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, কঞ্জারভেন্সি, ড্রেনেজ ও জঞ্জাল সাফাই বিভাগ প্রতিনিয়ত মাঠে নেমে কাজ করছে। প্রতি সপ্তাহে সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ডিজি সিভিল সোমবার বিভিন্ন বোরোয় জল জমার পরিমাণ খতিয়ে দেখেন। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্টও বানান তিনি। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় স্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তরও রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সতর্ক করে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মাইক্রো প্ল্যান’ তৈরি করে জমে থাকা জল এবং মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করতে হবে। ফাঁকা জমি ও বন্ধ বাড়িতে নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মিশ্রণে মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়, যা ডেঙ্গি ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। তাই প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেবেন না বলে সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।