দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে রাজ্যগুলিকে একযোগে কাজ করার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে রাজ্য থেকে পাকিস্তানের বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠানো হয়। এই প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তবে তাঁর সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘বিদেশি কেউ এ দেশে অনুপ্রবেশ করলে তাকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের। আধার কার্ড, পাসপোর্ট বা ভোটার আইডি যদি নকল হয়, তা যাচাই করাও কেন্দ্রের দায়িত্ব। রাজ্য সরকার কীভাবে জানবে কে বৈধ আর কে অবৈধ? সীমান্ত নিরাপত্তা যদি ফাঁকি পায়, তাহলে দায় তো কেন্দ্রেরই।’
ফিরহাদ আরও বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র, জঙ্গিদের অর্থ লেনদেন—এসব নিয়ন্ত্রণ করাও কেন্দ্রের আওতায় পড়ে। কেন্দ্র যদি তার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করত, তাহলে আজ এত সমস্যা হতো না। আপনি (কেন্দ্র) নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না, অথচ দোষ দিচ্ছেন রাজ্যকে।’
ভারতীয় সেনা ও সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনা মারা যাচ্ছে, নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন—সবই কেন্দ্রের অপদার্থতার ফল। পরে সিনেমা হবে ‘উরি অ্যাটাক’, সবাই দেখবে। কিন্তু যারা প্রাণ হারাল, তারা তো আর ফিরে আসবে না।’
ফিরহাদের অভিযোগ, দেশের সেনাবাহিনীতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। কোথাও ১০০ জনের কাজ ১০ জনকে দিয়ে করানো হচ্ছে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।
সর্বোপরি, ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুপ্রবেশ রোধ, জঙ্গি কার্যকলাপ ও অবৈধ নাগরিক চিহ্নিত করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব—এতে রাজ্যের দোষ চাপানো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।