যােগীরাজ্যে অসুস্থ মাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার তরুণী

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় চাপ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথের ওপর। অনেকেই উত্তরপ্রদেশকে ধর্ষণের রাজধানী তকমা দিতেও শুরু করেছেন।

Written by SNS Lucknow | October 19, 2020 12:51 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: IANS)

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় চাপ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথের ওপর। অনেকেই উত্তরপ্রদেশকে ধর্ষণের রাজধানী তকমা দিতেও শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবারই তিনি ঘােষণা করেছিলেন, মেয়েদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাই তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার। প্রতি থানায় মহিলা হেল্প ডেস্ক করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়াও তাঁর পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। 

কিন্তু এখনও পর্যন্ত যােগী আদিত্যনাথের পুলিশ রাজ্যের মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তার প্রমাণ রজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এবার অসুস্থ মাকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হলেন এগারাে ক্লাসের তরুণী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জালৌন শহরের ওরাই অঞ্চলে। 

পুলিশ জানায়, বুধবারই অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে বাবার ফোন পেয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। হাসপাতাল বাড়ি থেকে হাঁটাপথ। কিন্তু রাতের বেলায় নির্জন রাস্তায় কিছুদূর যাওয়ার পর ভয় পেতে থাকেন ওই তরুণী। অন্ধকার রাস্তায় আর না গিয়ে বড়ির পথে ফিরে আসছিলেন। সে সময় ওই তরুণী লক্ষ্য করেন, দু’জন তার পিছু নিয়েছে। দ্রুত বাড়ির পথে হাঁটা দেওয়ার সময় তারা এগারাে ক্লাসের ওই ছাত্রীকে জোর করে রাস্তার ধারে একটি ঝােপের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণ করে শাসিয়ে যায়।

কোনও রকমে বাড়ি ফিরে শুত্রদ্বার গােটা ঘটনাটা বাড়ির সদস্যদের জনান ওই তরুণী। এরপর বাবার সঙ্গে গিয়ে ওরাই থানায় গিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সুপার যশবীর সিং জানান, জলৌনের এই ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। দু’জনেই নাবালক। ফেসবুকের প্রােফাইল ছবির সূত্রেই এই দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। 

ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, মেয়েটিকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে ঢােকার সময় দুই অভিযুক্তের একজন অপরজনকে নাম ধরে ডেকেছিল। সেই নামটুকু কেবল মনে করতে পেরেছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। অভিযুক্তদের সম্পর্কে আর কোনও তথ্য তার হাতে ছিল না। পরিবারের এক সদস্যের ফেসবুক প্রােফাইল সার্চ করতে গিয়ে দুই অভিযুক্তের একজনকে তারা পেয়ে যান। নির্যাতিতা প্রােফাইলের ছবি দেখে ওই অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন। সেই মতাে এফআইআর-এ অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জেরায় অপর অভিযুক্তের নাম জানতে পারে। এরপর দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।