• facebook
  • twitter
Tuesday, 15 July, 2025

‘যা কিছু হয়েছে দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে’

পুণে ধর্ষণকাণ্ডে দাবি অভিযুক্তর আইনজীবীর

প্রতীকী চিত্র

পুণেকাণ্ডে নয়া মোড়। মহিলার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল, যৌন নির্যাতন করা হয়নি। আদালতে অভিযুক্তর পক্ষে সওয়াল করে এমনটাই দাবি করেছেন আইনজীবী সাজিদ শাহ। আইনজীবীর যুক্তি, যদি জোর জবরদস্তি করা হত, তা হলে মহিলা বাঁচানোর জন্য চিৎকার করলেন না কেন ? তিনদিন ধরে তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিরুর এলাকার একটি ধানখেত থেকে  অভিযুক্তকে ধরা হয়। গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার তাঁকে পুণের একটি আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এক সংবাদ সংস্থাকে অভিযুক্তর আইনজীবী বলেন, ‘অভিযুক্তকে ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত। আদালতে আমরা জানিয়েছি, যা ঘটেছে তা দু’জনের সম্মতিতেই হয়েছে।’ অভিযুক্তের আরও এক আইনজীবী ওয়াজিদ খানও সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, তদন্তকারী আধিকারিক দাবি করেছেন যে, এই ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে। সে অপরাধমনস্ক। কিন্তু দেখা গিয়েছে, আগের কোনও ঘটনাতেই তিনি দোষী প্রমাণিত হননি। এছাড়াও ঘটনার দিন যে সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে, তখন সকাল পৌনে ৬টা। মহিলা তো চিৎকার করে সাহায্য চাইতে পারতেন। এই ঘটনায় কোনওরকম জোর জবরদস্তি করা হয়নি। 
 
পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, নির্যাতিতা সোয়ারগেট বাসডিপোয় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি সাতারায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত সেখানে আসেন। নির্যাতিতার কাছে যখন জানতে পারেন তিনি সাতারায় যাবেন , তখন তাঁকে সাতারার বাসে তুলে দেওয়ার নাম করে ডিপোর অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় একটি ফাঁকা বাসে তুলে দেন। তার পর তাঁকে বাসের ভিতরে ২ বার যৌন নিগ্রহ করেন অভিযুক্ত। নির্যাতিতাকে বার বার ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করায় নির্যাতিতাও তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত দত্তাত্রয় রামদাস গেদেকে পুনে জেলার শিরুর তহসিলের একটি গ্রাম থেকে পুনে ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল আটক করে। শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুনের একটি আদালত শুক্রবার অভিযুক্ত দত্তাত্রয় রামদাস গাডেকে ১২মার্চ পর্যন্ত ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা মহিলা প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ফলটনে তাঁর বাড়ি ফেরার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় দত্তাত্রয় রামদাস গাদে নামে ওই অভিযুক্ত তাঁর কাছে আসে। মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে অন্য জায়গায় পার্ক করা বাসে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পরে, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী, প্রতাপ সারনায়েক, রাজ্য জুড়ে সমস্ত বাস স্ট্যান্ড এবং ডিপোগুলির অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান মহিলা যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে, মন্ত্রী সারনায়েক বাস স্টেশনগুলিতে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বাস স্টেশন এবং ডিপোতে পার্ক করা সমস্ত নথিবদ্ধ বাস এবং পরিবহন অফিস মারফত বাজেয়াপ্ত যানবাহন ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।