বেকারত্বই ধর্ষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, বিচিত্র ব্যাখ্যা মার্কণ্ডেয় কাটজুর

ভাবার স্বাধীনতা অবশ্য সকলেরই আছে। কিন্তু প্রাক্তন বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু যেভাবে ভাবেন তা শেষ পর্যন্ত বিতর্কের ইন্ধন হয়ে দাঁড়ায়।

Written by SNS New Delhi | October 2, 2020 12:22 pm

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু। (Photo: IANS)

মার্কণ্ডেয় কাটজু মানেই বিতর্ক। আর পাঁচজন যেভাবে ভাবেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সে ভাবনার ধারেকাছেও যান না। নিজেরম তাে ব্যাখ্যা দেন। ভাবার স্বাধীনতা অবশ্য সকলেরই আছে। কিন্তু প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু যেভাবে ভাবেন তা শেষ পর্যন্ত বিতর্কের ইন্ধন হয়ে দাঁড়ায়।

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের দলিত কন্যার ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তে দেশে ধিক্কার রব উঠেছে। যােগী সরকারের আদৌ ক্ষমতায় থাকার অধিকার আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরােধীরা। এমন একটা সময় হাথরসের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধর্ষণ বাড়ার এক উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কণ্ডেয় কাটজু।

বুধবার সােশ্যাল মিডিয়া পােস্টে তিনি লিখেছেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার পেছনে অন্যতম একটা বড় কারণ হল বেকারত্ব বেড়ে চলা। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর কথায় যৌনতা পুরুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। একজন পুরুষ বিয়ে করে সেই তাগিদ মেটায়। কিন্তু এই বেকারত্বের যুগে পুরুষদের বিয়ে করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যৌনতার এই ঘাটতি তাকে ধর্ষণের মতো জন্য কাজের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। 

যৌনতাকে পুরুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বলে ব্যাখ্যা করে কাটজু আরও বলেন, একটা সময় বলা হত খাওয়াদাওয়ার পর পুরুষের পরবর্তী প্রয়ােজনীয়তা যৌনতা। ভারতের মতাে রক্ষণশীল সমাজে সাধারণ বিয়ের পরেই একজন পুরুষ যৌন মিলন করতে পারে। কিন্তু বেকারত্ব বাড়ার কারণে বৃহত্তর সংখ্যক যুবক যৌনতা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। একটা বয়সে পৌছনাের পর এটাও স্বাভাবিক চাহিদা।

সেই সঙ্গে অবশ্য কাটজু এও বলেন, আমি আরও এবার একটা কথা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, আমি ধর্ষণকে সমর্থন করছি না। বরং এর নিন্দা করছি। কিন্তু দেশের প্রেক্ষাপট এবং পরিস্থিতির বিচারে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে বাধ্য। তাই সত্যি যদি আমরা ধর্ষণ কমাতে চাই, তাহলে এমনি এটা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে বেকারত্ব আর থাকবে না। বা থাকিলেও তা হবে খুবই কম।

কাটজু যেভাবে ধর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। বিচিত্র ভাবনা বিরূপ সমালােচনার মাধ্যেও পড়তে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে।