ভারতের তিন বাহিনীকে একত্রে কাজ করার বিশেষ নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে একজোট হয়ে লড়াইয়ে শামিল হয়েছিল ভারতের তিন বাহিনী। বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চললেও উত্তেজনার প্রশমন ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশেষ নির্দেশ দিল মোদী সরকার। সেনা, নৌ ও বায়ু সেনাকে একত্রিত হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনীই যৌথ কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করবে। ২৭ মে থেকে এই নয়া নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল আন্তঃ পরিষেবা সংস্থা তথা ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন-এর কার্যকর কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা জোরদার করা, যার ফলে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ঐক্য মজবুত হবে।’
সরকারি সূত্রে খবর, এত দিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় হতে সময় লাগত। নতুন নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না। কারণ, তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। যৌথ অপারেশনের ক্ষেত্রেও কোনও বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না।
২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এই নিয়ম সংক্রান্ত ‘ইন্টার-সার্ভিসেস অর্গনাইজ়েশন’ বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষে। ওই বছরেরই আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা আইনে পরিণত হয়। ভারতীয় সেনায় ওই আইন কার্যকর হয় গত বছর ১০ মে। এ বার নিয়ম জারি হল।
ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন-এর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাতে সমগ্র বাহিনীর সমস্ত কর্মীদের নেতৃত্ব দেওয়ার ও পরিচালনা করার ক্ষমতা তুলে দিয়েছে এই আইন। এটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখার জন্যই প্রযোজ্য। এই আইনের মাধ্যমে মৌলিক নিয়ম ও শর্তাবলী পরিবর্তন না করেই বাহিনীর কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। তবে আইনের ১১ ধারার অধীনে কিছু নতুন নিয়ম আইএসও-র কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয়। এতে বাহিনীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার দিকটিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন যে কোনও সামরিক পদক্ষেপেই একটি সার্বিক কমান্ড অনুসরণ করবে ভারতের তিন বাহিনী।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের আবহে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ড। সরকারি সূত্রে খবর, প্রথমে ওই দুই কমান্ডেই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। পরে বাকি সীমান্তগুলিতে এই নিয়ম চালু হবে।