এই সরকার ভীতু, জামিয়ার ঘটনায় কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার

রবিবার রাতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। বিনা অনুমতিতে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করেছে বলে অভিযােগ।

Written by SNS New Delhi | December 17, 2019 12:30 pm

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। (Photo: Twitter/@sushmitadevinc)

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযান চালানােয় সরকারের তুমুল সমালােচনায় মুখর হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা। কেন্দ্রীয় সরকারকে ভীতু বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

হিন্দিতে টুইট করে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রদের পেটাচ্ছে। যে সময়ে সরকারের এগিয়ে মানুষের কথা শােনা উচিত, তখন বিজেপির সরকার উত্তর-পূর্ব, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে ছাত্র এবং সাংবাদিকদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। এটা একটা ভীতু সরকার’।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এভাবে যুবসমাজকে চেপে রাখা যাবে না’। তাঁর কথায়, ‘মানুষের কণ্ঠে ভীত এই সরকার। তারা নিজেদের স্বৈরতন্ত্রের দ্বারা যুবসমাজকে চুপ করিয়ে রাখতে চাইছে’।

রবিবার রাতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। বিনা অনুমতিতে গায়ের জোরে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের ব্যাপক মারধর করেছে বলে অভিযােগ করেছেন চিফ প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান। এমনকী জোর করে ক্যাম্পাস থেকে পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। গােটা ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

জমিয়া মিলিয়া চিফ প্রক্টর আহমদে খান টাইমস নাউ’কে জানিয়েছে, জামিয়া নগর ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য দিল্লি পুলিশের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এমন অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপরেও পুলিশ গায়ের জোরে ক্যাম্পাসে ঢােকে। এরপরে ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোনায় তল্লাশি শুরু হয়। সে সময় উপস্থিত পড়ুয়া এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও তাঁর দাবি।

গােটা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও বহু পড়ুয়া ক্যাম্পাসে লুকিয়ে আছে। প্রত্যেকেই ভীত সন্ত্রস্ত’। এরই মাঝে ভাইরাল হয়েছে কিছু ছবি ও ভিডিয়াে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পােশাকে থাকা এক ব্যক্তি জামিয়ার এক ছাত্রের উপর লাঠি চালাচ্ছে। ছাত্রটিকে বাঁচানাের চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে এক ছাত্রীকে। সিভিল ড্রেসে কে পুলিশের সঙ্গে মিশে ছাত্রদের পেটাচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই ছবি নিজর টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসােদিয়া।

রবিবার বিকেলে সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিল্লি। যার নেতৃত্বে ছিলেন মুলত জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। পরপর বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চলে ভাঙচুর।