মােদির বেহাল অর্থনীতিতে ডুবছে দেশ: রাহুল গান্ধি

বেকারত্ব, অর্থনীতির বেহাল দশা সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুকে সামনে রেখে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালােচনায় মুখর হয়েছেন রাহুল গান্ধি।

Written by SNS New Delhi | September 6, 2020 3:06 pm

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

কেন্দ্রকে নিশানা বানিয়ে ধারাবাহিকভাবে নিজের বক্তব্য পেশ করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বেকারত্ব, অর্থনীতির বেহাল দশা সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুকে সামনে রেখে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালােচনায় মুখর হয়েছেন তিনি।

এদিন রাহুল টুইট করে বলেছেন, ‘মােদি সরকার কি সােচ, মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম প্রাইভেটাইজেশন।’ এর আগে রাহুল বলেছিলেন, ‘দেশ এখন মােদি মেড ডিজাস্টারের কবলে। কোরত্বের হার ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সব নিয়ােগ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ 

যদিও রাহুলের এই অভিযোগ অর্থমন্ত্রকের তরফে টুইট করে অস্বীকার করা হয়েছে। রাহুল এদিন হিন্দিতে টুইট করে বলেন, ‘কোভিড একটা অজুহাত মাত্র। কেন্দ্রীয় সরকার চায় কোনও সরকারি অফিসে স্থায়ী চাকুরে থাকবে না। নষ্ট হতে বসেছে যুবকদের ভবিষ্যৎ। এই সরকারের আমলে শুধুমাত্র বিজেপির বন্ধুদের উন্নতি হবে। আসলে মােদি সরকার মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম প্রাইভেটাইজেশন বিশ্বাসী।’ 

রাহুল তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন স্ক্যান করে পােস্ট করে দিয়েছেন সরকার চাকরিতে নতুন কোনও পােস্ট তৈরি করছে না। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে কোনও মন্ত্রকে কিংবা মন্ত্রকের অধীনে নতুন করে কর্মী নিয়ােগ হচ্ছে না। যদি একান্তই কাউকে নিয়ােগ করতে হয় তাহলে প্রস্তাব পাঠাতে হবে আয় ব্যয় সংত্রান্ত দফতরে।

এর আগে অর্থনীতির বেহাল দশা সম্বন্ধে বহুবার মােদি সকারের সমালােচনায় সরব হয়েছেন রাহুল। গত ৩০ আগস্ট প্রাক্তন এই কংগ্রেস সভাপতি তিন দফায় ব্যাখ্যা করেছিলেন দেশের অর্থনীতিকে কিভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে মােদি সরকার। ২০১৬ সালে নােট বন্দি জিডিপির রেকর্ড পতনের জন্য দায়ী বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। করােনা আবহাওয়ায় পাশাপাশি ভুলে ভরা জিডিপি আইনের জন্য অর্থনীতিকে তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে। অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। 

সব কিছু দেখে শুনেও কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চুপ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের উচিত ছিল সমাজের দরিদ্রতম মানুষের কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার, লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাই। গরিবের হাতে সরাসরি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ গরিবের হাতে সরাসরি টাকা দিলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। সচল হবে অর্থনীতি। কিন্তু কেন্দ্র এ পথে হাঁটলই না, ফলে যা হওয়ার তাই হতে চলেছে। বলে মন্তব্য করেন রাহুল।