প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা

ঘােষণা মতােই ৬ এপ্রিল, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যােগ দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগােপাল ও মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যােগ দিলেন বিজেপি’র এই বিক্ষুব্ধ নেতা।

Written by SNS April 7, 2019 11:04 am

শত্রুঘ্ন সিনহার সাথে রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

দিল্লি – ঘােষণা মতােই ৬ এপ্রিল, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যােগ দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগােপাল ও মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যােগ দিলেন বিজেপি’র এই বিক্ষুব্ধ নেতা। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর দলে যােগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা শত্রুগ্ন।

বিদায়ী সাংসদ ও বিক্ষুব্ধ নেতা শত্রুঘ্নকে এবার পাটনা সাহিব থেকে লােকসভার টিকিট দেয়নি বিজেপি। পরিবর্তে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। অন্যদিকে, লােকসভা নির্বাচনে বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি’র সঙ্গে মহাজোট হয়েছে কংগ্রেসের। যার জেরে বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে প্রার্থী দিচ্ছে আরজেডি এবং ৯টিতে কংগ্রেস। পটনা সাহিব আসনও কংগ্রেসই প্রার্থী দিচ্ছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘পাটনা সাহিব থেকে দাঁড়াতে চাওয়ার কারণে’ কংগ্রেসে যাওয়ার কথা বলেছিলেন শত্রুঘ্ন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতাে নেতারাও তাঁকে দলে নিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে পারিবারিক বন্ধু লালুপ্রসাদ যাদবের পরামর্শেই কংগ্রেসে যােগ দেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শনিবার কংগ্রেসে যােগ দিয়ে নিজস্ব স্টাইলে মােদি-শাহ জুটিকে আক্রমণ করেন বলিউডের ‘শটগান’। বলেন ‘বিজেপিতে আগে গণতন্ত্র ছিল এখন একনায়কতন্ত্র চলছে’। প্রবীণ নেতা আদবানিকে ‘ব্রাত্য করা নিয়েও বিজেপি’র বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তােপ দাগেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাজপেয়ীর আমলে মন্ত্রী আদবানি ঘনিষ্ঠ শত্রুঘ্ন ২০০৯ সাল থেকে বিহারের পাটনা সাহিবের সাংসদ। তবে বরাবরই মােদি-শাহ জুটির বিরােধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মােদির সরকারের বিরােধিতা করতে দেখা যায় তাঁকে। যার জেরে বিজেপির সঙ্গেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার মঞ্চেও মােদি বিরােধিতা করেছিলেন আভিনেতা-সাংসদ।