প্রধানমন্ত্রীর সর্বশক্তিমান ভাবমূর্তি সবচেয়ে বড় দুর্বলতা: রাহুল

ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে সোমবার সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।

Written by SNS New Delhi | July 21, 2020 10:12 pm

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে সোমবার সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ট্রংম্যান ইমেজই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।

রাহুল গান্ধি বলেন, ক্ষমতায় আসতে নরেন্দ্র মোদি একটা নকল স্ট্রংম্যান ইমেজ তৈরি করেছিলেন, সেটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এদিন মিনিট দুয়েকের ভিডিওতে রাহুল গান্ধি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কাপুরুষের মতো আচরণ করছে। এর জন্য দেশকে বড় মূল্য দিতে হবে। গোটা পৃথিবীকে চিন নিজেদের মতো করে গড়ে নিতে চাইছে বলে ভিডিওতে বলতে শোনা যায় রাহুল গান্ধিকে।

এদিন রাহুল তাঁর ভিডিও বার্তায় লাদাখে ভারত ও চিন সেনা সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহাল্টি কথা উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাহুলের আরও বক্তব্য, চিন আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা না করে কোনও কিছু করে না। ওরা এতটাই দূরের কথা ভেবে কাজ করে। আর এই পরিস্থিতিতে আমরা কি করছি? আমরা ওদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে তুলছি। কারণ, গালোয়ান হোক বা প্যাংগং লেক- সব জায়গাতেই একই ঘটনা ঘটছে।

আমরা যখনই কিছু আপত্তি করছি, তখনই ওরা আরও বড় পরিকল্পনা করে আমাদেরকে আঘাত করার চেষ্টা করছে। আমরা হাইওয়ে বানালে ওরা আপত্তি করছে। আরও বড় পরিকল্পনা করলে ওরা কাশ্মীরে অশান্তি পাকাতে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে।

এখানেই থেমে থাকেননি রাহুল। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারত ও চিনের মধ্যে যে সমস্যা, তাঁকে শুধু সীমান্ত ইস্যু বলে সরলীকরণ করা যায় না। আদতে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়ানোই লক্ষ্য চিনের। আসলে ওরা বুঝে গিয়েছে, সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হলে যেনতেন প্রকারে ৫৬ ইঞ্চির ছাতির ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই হবে নরেন্দ্র মোদিকে। আর এই ধারণার ওপরই আঘাত হানতে চাইছে চিন। আসলে ওরা বলতে চাইছে যে, আমাদের সুরে সুর না মেলালে নরেন্দ্র মোদির সর্বশক্তিমান ভাবমূর্তি গুড়িয়ে দেব।

এখানেই রাহুলের প্রশ্ন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি করবেন? চাপের মুখে উনি কি রুখে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন যে আমি প্রধানমন্ত্রী, কোনও ভাবমূর্তির পরোয়া করি না। নাকি চিনের সামনে নতিস্বীকার করবেন? কিন্তু আমার আশঙ্কা, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নতিস্বীকার করেছেন। তাই চিন আমাদের ভূখণ্ডে বসে থাকলেও উনি বলছেন কেউ নেই। আসলে নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যত মাথাব্যথা।

চিনকে যদি এই বার্তা দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, তাহলে বুঝতে হবে তিনি দেশের জন্য কাজ করছেন না। ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত এবং হটকারিতার জন্য ভারত ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে কয়েকদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।

আসলে চিনা আগ্রাসনের তথ্য যাতে সামনে এসে না পড়ে তার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলিকেও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে রাহুল মন্তব্য করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, খুব শীঘ্রই বিভ্রম ভাঙবে আর এর জন্য মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে।