• facebook
  • twitter
Thursday, 18 December, 2025

বিধানসভায় তাস খেলায় মগ্ন কৃষিমন্ত্রী, কৃষি থেকে সরানো হল ক্রীড়া দপ্তরে

বিধানসভা চলাকালীন অনলাইনে তাস খেলায় মগ্ন থাকায় মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী মানিকরাও কোকাটেকে সরানো হল কৃষি দপ্তরের পদ থেকে।

বিধানসভা চলাকালীন অনলাইনে তাস খেলায় মগ্ন থাকায় মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী মানিকরাও কোকাটেকে সরানো হল কৃষি দপ্তরের পদ থেকে। যদিও মন্ত্রিত্ব পুরোপুরি হারাননি তিনি, খেলার প্রতি তাঁর ‘আগ্রহ’-এর প্রতিফলন হিসেবেই এবার তাঁকে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া দপ্তরের দায়িত্ব।এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং অজিত পওয়ার। দল ও সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মানিকরাওয়ের দপ্তর পরিবর্তনের।

প্রসঙ্গত, মানিকরাও কোকাটে এনসিপি (অজিত গোষ্ঠী)-র বিধায়ক। কৃষি দপ্তরের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনসিপিরই আর এক নেতা দত্তাত্রেয় ভরণেকে। এনসিপি-র অভ্যন্তরে এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই ‘পদাবনতি’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন। দলীয় ও সরকারি মহলে খবর, তাস খেলার বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মানিকরাও ক্ষমাও চান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু বিতর্কের চাপ সামাল দিতে শেষপর্যন্ত তাঁকে কৃষি দপ্তরের দায়িত্ব থেকে সরাতেই হয়।

Advertisement

এটাই প্রথম নয়, এর আগেও কৃষকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন মানিকরাও। গত মে মাসে শস্যবিমা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আজকাল ভিখারিরাও এক টাকা নেয় না। অথচ আমরা এক টাকার বিনিময়ে কৃষকদের শস্যবিমা দিচ্ছি। কিছু মানুষ এর অপপ্রয়োগ করছেন।’ মন্তব্যটি ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, মানিকরাওকে পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। তবে দলে ও মন্ত্রিসভায় ক্রমবর্ধমান চাপের মুখেই তাঁকে সরানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ক্রীড়া দপ্তরের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে আপাতত ‘স্মার্ট’ ভাবে পাশে সরিয়ে রাখা হল। বিধানসভায় দায়িত্বরত এক প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিধানসভা চলাকালীন এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। একদিকে রাজ্যের কৃষকেরা দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন, আর অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী অনলাইনে তাস খেলছেন—এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠছে, জনতার করের টাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ববোধ ও আচরণ নিয়ে। কোকাটের নতুন দায়িত্বপালনে কী পরিবর্তন আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্রবাসী।

Advertisement