রেভান্নার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি 

Written by SNS May 2, 2024 5:50 pm

দিল্লি, ২ মে – যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রজ্জ্বল রেভান্নার হদিশ পেতে জারি হল লুক আউট নোটিস। তদন্ত শুরু হওয়ার পরই দেশ ছেড়ে ‘পলাতক’  অভিযুক্ত দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্না। সম্প্রতি প্রজ্জ্বলের কিছু অশ্লীল ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ,  প্রজ্জ্বল তাঁর বাড়ির পরিচারিকাদের  তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেবেগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয় রাজ্য মহিলা কমিশন। তড়িঘড়ি এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। তদন্ত শুরু হতেই বেঙ্গালুরু ছেড়ে বিদেশে চলে যান অভিযুক্ত প্রজ্জ্বল। সূত্রের খবর, আপাতত তিনি জার্মানিতে আত্মগোপন করে রয়েছেন। রেভান্নার হদিশ আদৌ মিলবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা। একাধিক মহিলার সঙ্গে যৌন হেনস্তার অভিযোগ সামনে আসতেই বুধবার তাঁর দল জেডিএস সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে রেভান্নাকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে ‘পলাতক’ বলে ঘোষণা করল সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল।

দ্বিতীয় দফায় হাসান কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই খোঁজ নেই রেভান্নার। অনেকের অনুমান, তিনি জার্মানিতে পালিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছে বলেও কংগ্রেসের অভিযোগ। লুকআইট নোটিস জারি করার ফলে তিনি দেশে ফিরলে যে কোনও বিমানবন্দর, বন্দর এবং সীমান্ত এলাকায় তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হবে।
 
প্রজ্জ্বল রেভান্নার আইনজীবী জানান, সাতদিন পরে বেঙ্গালুরুতে ফিরে এসে নোটিসের জবাব দেবেন। কিন্তু প্রজ্জ্বল জানান, বুধবারই তিনি সিটের নোটিসের উত্তর দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “খুব তাড়াতাড়ি সত্যিটা সামনে আসবে।” প্রজ্জ্বল বিদেশে থাকার সময়ই তাঁর কাছে জবাবদিহি চেয়ে চিঠি পাঠান তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিটের সদস্যদের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয় রেভান্না ও তাঁর বাবাকে। রেভেন্নার বিধায়ক বাবা এইচডি রেভান্নাও ছেলের হয়ে  বলেন, এটি চক্রান্ত। কিছু পুরনো ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
 
তবে জবাবদিহির পরও স্বস্তি পাননি জেডিএস সাংসদ রেভান্না। বৃহস্পতিবার কর্নাটক সিটের তরফে রেভান্নার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। বিশ্বের সমস্ত অভিবাসন দপ্তরে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে । 

এদিন কর্নাটকে ভোট প্রচারে এসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানতেন প্রজ্জ্বল রেভান্না গণধর্ষক। তাও তিনি তাঁর হয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। কংগ্রেস নেতার আরও অভিযোগ, প্রজ্জ্বল রেভান্না ৪০০-র বেশি মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন, তাঁদের ভিডিও তুলেছেন। একে যৌন কেলেঙ্কারি না বলে গণধর্ষণের ঘটনা বলা উচিত ।