শিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবার নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দলের তরফে কুণাল ঘোষ কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তিকে ফতোয়া বলে কটাক্ষ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এভাবে সরাসরি খাদ্যাভাসে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলার শাসকদলের প্রশ্ন, সিগারেটের মতো শিঙাড়া, জিলিপিকে নিয়ে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দেওয়া হচ্ছে কেন? এ বিষয়ে বিতর্ক শুরু হতেই কেন্দ্রের সাফাই, শিঙাড়া, জিলিপি এবং লাড্ডুর মতো খাবার নিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে মাত্র। কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, শিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারে কত পরিমাণ চর্বি, শর্করা ইত্যাদি থাকে এবং তাতে কী ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এইমস সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া, জনবহুল জায়গায় শিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই খাবার খেলে কী কী শারীরিক ঝুঁকি দেখা দিতে পারে তা–ও জানাতে হবে। নির্দেশিকায় এই খাবারগুলি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার কথা বলা হলেও সেগুলি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়নি। তালিকায় শিঙাড়া, জিলিপি ছাড়াও রয়েছে গুলাবজামুন, বড়াপাও, পকোড়া, চিপ্সের মতো একাধিক খাবার।
এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডলে মমতা লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি শিঙাড়া, জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না। আমার মনে হয়, শিঙাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয়। সেইসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন। মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয়।’