ছাত্রীদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে পুলিশ। দিল্লির একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজে ছাত্রীদের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে কলেজেরই অধিকর্তা চৈতন্যনন্দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়।
জানা গিয়েছে, হস্টেলের প্রতিটি ঘরে গোপন ক্যামেরা বসানো ছিল। সেই ক্যামেরার সাহায্যেই ছাত্রীদের ওপর নজর রাখতেন দিল্লির ‘বাবা’ স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী ওরফে স্বামী পার্থসারথি। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ছাত্রীদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সেই ‘বাবা’র বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ‘বাবা’র খোঁজে দিল্লি ছাড়াও বিহার, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে তল্লাশি চলানো হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, আগরা বা উত্তরাখণ্ডের কোনও জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছেন চৈতন্যনন্দ।
Advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২ জন ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই ছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, ছাত্রীদের অশ্লীল মেসেজ, তাঁর কথা অমান্য করলে শারীরিকভাবে ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। ‘বাবা’কে এই সমস্ত কাজে সহযোগিতা করতেন কলেজ এবং হস্টেলের মহিলা কর্মী এবং সদস্যরা। এই মহিলা কর্মীরা ছাত্রীদের বলতেন, ‘বাবা’র ইচ্ছা পূরণ না করলে সাংঘাতিক ক্ষতি হতে পারে। কেউ রাজি না হলে হলে ‘বাবা’র ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ছাত্রীদের ওপর জোর করা হত বলে অভিযোগ। এমনকি ছাত্রীদের জোর করে নাম বদল করতেও বাধ্য করা হত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পলাতক চৈতন্যনন্দ।
Advertisement
পুলিশের একটি সূত্রে দাবি, এর আগেও চৈতন্যনন্দের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উঠেছিল। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাবা’র বিরুদ্ধে আগে থেকেই ৫টি মামলা ঝুলছে। এসব মামলার মধ্যেও প্রতারণা এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে এই অভিযোগের পরে ২০১৬ সালেও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ।
Advertisement



