• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শবরীমালা মন্দিরের বিগ্রহ থেকে সাড়ে চার কেজি সোনা ‘উধাও’

কেরলের বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরের বিগ্রহ থেকে সাড়ে চার কেজি সোনা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।

কেরলের বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরের বিগ্রহ থেকে সাড়ে চার কেজি সোনা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। এই ঘটনায় কেরল হাইকোর্ট রাজ্য ভিজিল্যান্স দপ্তরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। অভিযোগ, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে শবরীমালা মন্দিরের মূল বিগ্রহের ওজন কমেছে প্রায় ৪ কেজি ৫৪২ গ্রাম। ২০১৯ সালে বিগ্রহের ওজন ছিল ৪২ কেজি ৮০০ গ্রাম। বর্তমানে সেটি দাঁড়িয়েছে ৩৮ কেজি ২৫৮ গ্রাম-এ। ঠিক কীভাবে বিগ্রহের এই বিপুল পরিমাণ সোনা উধাও হল, তা খতিয়ে দেখতে চায় আদালত।

Advertisement

বুধবার বিচারপতি রাজা বিজয়রাঘবন ভি ও বিচারপতি কেভি জয়কুমার-এর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই আদালত জানায়, বিষয়টি গুরুতর এবং মন্দির প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ত্রাবাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি)-এর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।

Advertisement

আদালত জানায়, ১৯৯৯ সালে শবরীমালা মন্দিরে এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার মাত্র ছ’বছরের মধ্যেই বিগ্রহের মেরামতের প্রয়োজন পড়ে। ২০১৯ সালে টিডিবি চেন্নাইয়ের একটি সংস্থার মাধ্যমে মেরামতির কাজ করায়। অভিযোগ, এই কাজ স্পেশ্যাল কমিশনার বা আদালতের অনুমোদন ছাড়াই সম্পন্ন হয়। মেরামতের পরই দেখা যায় বিগ্রহের ওজন হ্রাস পেয়েছে, যা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে এবং পরবর্তীকালে আদালতে মামলা হয়।

কেরল হাইকোর্ট এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এত বড় অঙ্কের সোনা কীভাবে অজান্তে উধাও হল, তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মন্দিরের সম্পদ রক্ষা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আদালত ভিজিল্যান্স দপ্তরকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেছে।

Advertisement