পাকিস্তানকে আধুনিক সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করছে চিন। এই ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ‘নিরবচ্ছিন্ন দৃষ্টি’ রাখা হচ্ছে বলে জানালেন ভারতের উপ–নৌপ্রধান। তাঁর কথায়, সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা ও কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা এখন ভারতীয় নৌসেনার সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
নৌ–উপপ্রধান জানান, ‘চিন পাকিস্তানকে যে ধরনের সাবমেরিন ও নৌ–রণসম্পদ দিচ্ছে, আমরা তার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছি। ভারতীয় নৌসেনা সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী বর্তমানে নৌ–রক্ষায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে নিজেদের আধুনিকীকরণ কর্মসূচি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
Advertisement
সূত্রের খবর, চিনের তৈরি উন্নত মানের সাবমেরিন পাকিস্তানের হাতে গেলে আরব সাগরের কৌশলগত গতিবিধি নতুন করে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ফলে ভারতীয় নৌসেনা গোয়েন্দা নজরদারি, সমুদ্র–পাহারা এবং সাবমেরিন প্রতিরোধ সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
Advertisement
উপ–নৌপ্রধান স্পষ্ট করে দেন, ‘ভারতের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ক্ষমতা এবং সরঞ্জাম— দুইই আমাদের হাতে আছে।’ তিনি জানান, নৌসেনার নিজস্ব নির্মাণ কর্মসূচি— বিশেষ করে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট, সাবমেরিন এবং নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতি— ভারতকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা দেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন–পাকিস্তান নৌ–ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়, তবে সাম্প্রতিক সরঞ্জাম সরবরাহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভারসাম্যে চাপ বাড়াতে পারে। তাই ভারতীয় নৌসেনার কড়া নজর ও প্রস্তুতিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Advertisement



