সোমবার ভারত-পাকিস্তান বৈঠক। তার আগের দিন রবিবার ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শনিবার রাতেই প্রত্যাশিতভাবে তা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। সেজন্য ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, রবিবার রাতে বা তার পর অর্থাৎ আগামিকালের বৈঠকের আগে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল ঘাই আরও জানান, যদি চুক্তি রক্ষা করে পাকিস্তান। তবে আগামিকালের বৈঠকে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। অন্যথায় এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান গুলি চালালে ভারত আরও জোরালো হামলা চালাবে। পাকিস্তান থামলে ভারতও থেমে যাবে।
এদিন পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ালে তার খেসারত দিতে হবে সে দেশকে। পাকিস্তান একদিকে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে, আর অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে জলবণ্টন বা বাণিজ্যে সহযোগিতা পাবে— তা হবে না। অপারেশন সিঁদুর’ শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও পাকিস্তানকে একাধিক বার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে, সিন্ধু জলচুক্তিকেও এখন জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হচ্ছে। তাই তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছে দিল্লি। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ না হলে এই চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সীমান্তে পাকিস্তানের যে কোনওরকম ‘দুঃসাহসিকতার’ যোগ্য জবাব দেবে ভারত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, বায়ুসেনা প্রধান এ পি সিং, নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠী ও সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।