৮ দিনে ছটি মামলার রায় দেবেন রঞ্জন গগৈ

সব মিলিয়ে নিজের কাজের শেষ ৮ দিনে ৬টি হাই প্রােফাইল মামলার রায় দিতে হবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে।

Written by SNS New Delhi | November 1, 2019 4:57 pm

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (File Photo: IANS)

অযােধ্যা, রাফায়েল, শবরীমালা, প্রধান বিচারপতির অফিসকে তথ্যের অধিকারের আওতায় নিয়ে আসা, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ষড়যন্ত্রের অভিযােগ, ফিনান্স বিল সংক্রান্ত বিতর্ক— সব মিলিয়ে নিজের কাজের শেষ ৮ দিনে ৬টি হাই প্রােফাইল মামলার রায় দিতে হবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে।

১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর নেবেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাঁর জায়গায় ১৮ নভেম্বর পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবেন বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ে।

সােমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিচারপতি বোবড়ের নামে সিলমােহর দিয়েছেন। এই আনুষ্ঠানিকতার পর্বের বাইরে সবার চোখ আটকে রয়েছে ৬টি হেভিওয়েট মামলার রায়ের দিকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজের বহু আলােচিত ইনিংসের শেষ ধাপে যে ৬টি মামলার রায় দিয়ে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসরে যাবেন, তার মধ্যে সব থেকে বেশি আলােচিত হল অযােধ্যা মামলার রায়। নজিরবিহীনভাবে টানা ৪০ দিন ধরে এই মামলার শুনানি চলেছিল দেশের শীর্ষ আদালতে, যেখানে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফে মামলার রায় রিজার্ভ রাখা হয়েছে।

এই মামলার রায় কোন দিকে যায়, তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে তুমুল আগ্রহ রয়েছে। নিজের কর্মজীবনে যাতে এই মামলার রায় তিনি দিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহযােগিতার আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানি পর্ব শেষ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতাে একটানা ৪০ দিন শুনানি করা হয়েছিল এই মামলার।

অযােধ্যার মামলার পরেই রয়েছে রাফাল রিভিউ মামলার রায়। গত ১০ মে এই মামলার রায় রিজার্ভ করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, যেখানে প্রধান বিচারপতির সহযােগী হিসেবে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কওল ও বিচারপতি কে এম জোসেফ।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, এমএল শর্মা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি ও যশবন্ত সিংদের তরফে দায়ের করা মামলায় রাফল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযােগ করেছিলেন মামলাকারীরা। 

তাঁদের দাবি ছিল, ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রথমে এই দাবি খারিজ করা হয়। পরে মামলাকারীরা রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। এরপর সেই রিভিউ মামলার শুনানি হয়, তারপরে রায় রিজার্ভ করে সুপ্রিম কোর্ট। এই ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখির তরফে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার রায়ও দেবে শীর্ষ আদালত। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই রাফাল মামলার রায়ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।