• facebook
  • twitter
Tuesday, 6 May, 2025

কাশ্মীরের হামলায় ২১ হাজার কোটি টাকার যোগসূত্র পেল এনআইএ

গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে পহেলগাম

ফাইল চিত্র

পহেলগামে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার মাদক পাচার চক্রের। আর সেই সূত্রে মোদী-শাহর রাজ্য গুজরাটেরও যোগসূত্র মিলেছে। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে এনআইএ। সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠীর পরিকল্পনা ছিল তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা এবং ভারতীয় যুবকদের মধ্যে মাদক বিতরণ করে ভারতে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।  

২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে জোরদার অভিযান। সেই সূত্রেই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার মাদক পাচার চক্রের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে এনআইএ। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সঙ্গে নিবিড় যোগ রয়েছে হেরোইনের চোরাচালানের। গুজরাটের শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিকানাধীন মুন্দ্রা বন্দর দিয়ে পাচার হচ্ছিল।
 
বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংহের বেঞ্চকে এনআইএ জানিয়েছে যে মুন্দ্রা বন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত করা ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৩ হাজার কেজি হেরোইন লস্কর-ই-তৈবা পাচারের চেষ্টা করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত করেন কাস্টমস ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। মাদকদ্রব্যগুলি আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে ভারতে পাচার করা হত।
 
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, প্রায় ৩ হাজার কেজি হেরোইন পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানের আইএসআই এবং ইরানি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে। দিল্লির নেব সরাই ও আলিপুরের গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছিল এই বিপুল পরিমাণ মাদক। ওই মাদক গুজরাটের বন্দরে পৌঁছয় ইরান থেকে। হেরোইন বিক্রি করে পাওয়া টাকা সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল।এই বিপুল পরিমাণ হেরোইন ট্যাল্ক পাউডার হিসেবে লুকিয়ে রাখা হয়। পাচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বৈধ নথিপত্র।  
 
এনআইএ-র তরফে আদালতে বলা হয়েছে, একজন সাক্ষী জানিয়েছে যে, নিহত টিআরএফ জঙ্গি লতিফ তাঁকে বলেছিল, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মাদক পচারকারীদের সঙ্গে তাঁর কাশ্মীর এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই সূত্রে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হয়। এনআইএ আদালতে বলে, এই ‘নারকো-টেরর’ ষড়যন্ত্রের মূল মাথা পাকিস্তানের আইএসআই ও লস্কর-ই-তৈবা।
 
এন আইএ আরও বলেছে, ‘এই মামলাটি অবৈধ উপায়ে ভারতে আনা মাদকদ্রব্যের মধ্যে বৃহত্তম বাজেয়াপ্ত করা এই মাদক কেবল জনসাধারণের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়নি, এই মাদক বিক্রির টাকায় সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্যও ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল।’