জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান মহম্মদ ইউসুফ শাহ (সৈয়দ সালাউদ্দিন নামে পরিচিত)-কে ‘ফেরার’ ঘোষণা করল শ্রীনগরের বিশেষ আদালত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আবেদন মেনে আদালত জানিয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সালাউদ্দিন ১৯৯৩ সাল থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বসে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আদালত তাঁকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) অনুযায়ী ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর আগে আমেরিকা তাঁকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে প্রায় এক দশক নিষিদ্ধ করেছিল।
Advertisement
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর পুত্র সৈয়দ শাহিদ ইউসুফকে ২০১৭ সালে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। সালাউদ্দিনের দুই পুত্র, সৈয়দ শাহিদ ইউসুফ এবং সৈয়দ মহম্মদ শাকিলের দু’টি সম্পত্তি ২০২৩ সালে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শাকিলকে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়।
Advertisement
এনআইএ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ প্রতিরোধে জোরদার অভিযান চালাচ্ছে। পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর কাশ্মীর উপত্যকার সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। সেই তালিকায় যুক্ত হল জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল’-এর প্রধান সালাউদ্দিনের নাম।
এদিকে, এনআইএ সালাউদ্দিনের ‘অবস্থান’ সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির জন্য জনসাধারণের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে করা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এক নতুন মোড় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement



