জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার যুক্ত থাকা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃত দুই ব্যক্তি – পারভেজ আহমেদ জোঠর (বাড়ি-বাটকোট) ও বশির আহমেদ জোঠর ((বাড়ি-হিল পার্ক) জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে এনআইএ।
গত ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া এই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ২৫ জন পর্যটক ও এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। এনআইএ-র দাবি, ধৃতেরা লস্কর-এ-তৈবার তিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এই তিন জঙ্গিরা হিল পার্কের একটি ছোট বস্তিতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। এনআইএ-র মতে, ধৃ্তেরা জঙ্গিদের আসল পরিচয় জানার পরেও তাঁদের সাহায্য করে।
এনআইএ সূত্রে খবর, নাম ও পরিচয় যাচাই করার পরেই পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় ওই জঙ্গিরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএপিএ-র ১৯ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পহেলগামে হামলার প্রায় দু’মাস পর এই গ্রেপ্তারিতে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য হাতে এসেছে।
প্রসঙ্গত, হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ইসলামাবাদ যদিও তা অস্বীকার করেছে, তবু ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সাম্প্রতিক ভারত-পাক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, এই প্রমাণ আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে জোরদার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের ৭টি দল বিভিন্ন দেশে সফর করে পাকিস্তানের ভূমিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতে কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জন কাশ্মীরের বাসিন্দা হলেও আসলে তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক। দু’জনেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ভারতে হামলার উদ্দেশে অনেকদিন আগেই কাশ্মীরে এসে বাসা বাঁধে তাঁরা। এই দুই ব্যক্তির থেকেই হামলাকারীদের পরিচয় জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই। প্রাথমিক ভাবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছিল, হামলার ঘটনায় চার জন জড়িত। এর মধ্যে আদিল হুসেন ঠোকার, হাসিম মুসা, আদিল ভাই নামে তিনজনের স্কেচও প্রকাশ করা হয়। ২৭ এপ্রিল ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।