কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত ইউজিসি-র নীতিকে ‘সংবিধান বিরোধী’ বলে উল্লেখ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।মঙ্গলবার সংসদীয় অধিবেশনের জিরো আওয়ারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মহুয়া লোকসভায় এদিন জানান, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরিচালনার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে রাজ্য সরকার। এদিকে সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটিতে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি নেই। উপাচার্য নিয়োগের সার্চ অ্যান্ড সিলেকশন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন সাংসদ।
২০১৮ সালের ইউজিসি-র নিয়মবিধি বদল করে ২০২৫ সালের জন্য প্রস্তাবিত ইউজিসি বিধি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই খসড়াকে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র অতিরিক্ত কেন্দ্রীয়-সরকার নির্ভর, সংবিধান-বিরোধী এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন।
নতুন বিধি অনুযায়ী, শিল্পক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা, জন প্রশাসন, জননীতি ও সরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের যোগ্য হতে পারেন। এছাড়া, এই খসড়া বিধিতে আচার্য বা ভিজিটরদের হাতে তিন সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান ও নির্বাচন কমিটি গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাঁরা উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন।
নতুন নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। এখন থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন, তাঁদের জন্য ইউজিসির ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে না।
গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের নিয়মে বদল নিয়ে ইউজিসি-র খসড়া খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দি্য়েছে রাজ্যের ৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই রিপোর্টে ইউজিসি-র ইউজিসি-র ১০টি বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এই কমিটি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ সদস্যের পরিবর্তে ৫ সদস্যের কমিটির সুপারিশ করা হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিকে রাখার প্রস্তাবও রিপোর্টে জানা