রাজ্যগুলির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে ঋণ কেন্দ্রের

এখন যে সব রাজ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে কেন্দ্রের কথা মতাে ঋণ নিতে রাজি হয়েছে, তাদেরই নিঃশর্তে আরও বেশি ঋণের অনুমতি দিচ্ছে মােদি সরকার।

Written by SNS New Delhi | October 16, 2020 12:34 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (File Photo: Twitter/@BJP4India)

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড পরিস্থিতির মােকাবিলার টাকা জোগাড় করতে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে কোনও শর্ত ছাড়াই বেশি করে ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এখন যে সব রাজ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে কেন্দ্রের কথা মতাে ঋণ নিতে রাজি হয়েছে, তাদেরই নিঃশর্তে আরও বেশি ঋণের অনুমতি দিচ্ছে মােদি সরকার।

এর ফলে রাজ্যগুলির মধ্যে ভেদাভেদ করার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরােধী শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল বা কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা মনে রছেন, মােদি সরকার নিজের সাংবিধানিক দায়দ্ধ তা অস্বীকার করছে। মুখে রাজ্যগুলির মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তােলার কথা বললেও নিজেই রাজ্যগুলির মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করছে।

মঙ্গলবার ২০ টি রাজ্যকে, ৬৮৮২৫ কোটি টাকা ঋণের অনুমতি দেওয়ার পরে আজ তামিলনাড়ুকেও অতিরিক্ত, ৯৬২৭ কোটি টাকা ঋণের অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। একই সঙ্গে জানিয়েছে, জিএসটি থেকে আয়ের অভাব মেটাতে যে ১১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের অনুমতি দেওয়া হবে, এটা তার অতিরিক্ত। কেন্দ্র আগেই রাজ্যের জিডিপির ৩%-এর বদলে ৫% ঋণের অনুমতি দিয়েছিল। তার মধ্যে এক দেশ এক রেশন কার্ড, পুরসভায় কর বসানাের মতাে চারটি প্রশাসনিক সংস্কারের তিনটি শর্ত পূরণ করলে ০.৫% ঋণের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল। 

যে সব রাজ্য কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে ধার করতে রাজি হয়েছে, তাদের জন্য ওই শর্ত তুলে নেওয়া হয়। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গ-কেরল-পঞ্জাব-রাজস্থান-ছত্তীসগঢ়ের মতাে রাজ্যকে হয় জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে হবে, অথবা, মােদি সরকারের কথামতাে সংস্কার করতে হবে। তবেই বাড়তি ঋণের অনুমতি মিলবে।