• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণ

দিল্লি, ১৬ এপ্রিল – অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা রবি কিষেণ এবার বিতর্কের শিরোনামে। অপর্ণা ঠাকুর নামে এক মহিলা  তাঁর বিরুদ্ধে  চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি রবি কিষেণের স্ত্রী বলে দাবি করেন। তাঁর সন্তানের বাবা বিজেপি সাংসদ। অবিলম্বে সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি মহিলার। এই ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। লোকসভা

দিল্লি, ১৬ এপ্রিল – অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা রবি কিষেণ এবার বিতর্কের শিরোনামে। অপর্ণা ঠাকুর নামে এক মহিলা  তাঁর বিরুদ্ধে  চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি রবি কিষেণের স্ত্রী বলে দাবি করেন। তাঁর সন্তানের বাবা বিজেপি সাংসদ। অবিলম্বে সেই সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি মহিলার। এই ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিপাকে বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণ।ঘটনার সূত্রপাত সোমবার লখনউতে। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অপর্ণা ঠাকুর নামে ওই মহিলা নিজেকে রবি কিষেণের স্ত্রী বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। অবিলম্বে যেন সেই সন্তানের দায়িত্ব দেন বিজেপি সাংসদ, সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবিও করেন অপর্ণা ঠাকুর।
 
লখনউয়ের সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগকারী মহিলা জানান, রবি কিষেণের সঙ্গে ১৯৯৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। কয়েক বছরের মধ্যেই একটি কন্যাসন্তান হয় তাঁদের। যদিও রবি কিষেণ সেই সন্তান দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ করেন অপর্ণা ঠাকুর। সাংবাদিক বৈঠকে শিশুটিকেও নিয়ে হাজির হন তিনি।
 
অপর্ণা ঠাকুরের অভিযোগ, বিজেপি সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তবে সামাজিকভাবে এই বিয়েকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। একইসঙ্গে মহিলার বক্তব্য, ‘রবি কিষেণের পদবী নিয়েই বড় হোক আমার মেয়ে। এটা ওর জন্মগত অধিকার।’ রবি কিষেণের সঙ্গে তাঁর নিজের ও সন্তানের ছবি দেখান অপর্ণা ঠাকুর। যদি বিজেপি সাংসদ তাঁর সন্তানের দায়িত্ব না নেন, তবে তিনিও আইনি পথে হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অপর্ণা।
 
সাংবাদিক বৈঠকে অপর্ণার মেয়ে বলে, ‘১৫ বছর বয়সে জানতে পারি রবি কিষেণ আমার বাবা। আগে আমি তাঁকে কাকা বলে ডাকতাম। আমার জন্মদিনে প্রতিবছর উনি আমাদের বাড়িতে আসেন। তবে বাবা হিসেবে তাঁকে কখনও কাছে পাইনি। বাবার ভালোবাসা থেকে আমি বঞ্চিত। আমি চাই তিনি আমায় মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিন।’ অপর্ণা বলেন, ‘আমার মেয়ের অধিকারের জন্য আমি আইনি লড়াইয়ের পথে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’