• facebook
  • twitter
Thursday, 15 May, 2025

ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে নেপালি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার

ওড়িশার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক নেপালি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

ওড়িশার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক নেপালি পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয় নেপালি পড়ুয়ার মৃত্যু হল এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সিলিং ফ্যান থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ভুবনেশ্বর-কটক এলাকার পুলিশ কমিশনার সুরেশদেব দত্ত সিংহ জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও ওঠেনি।

মৃত তরুণী কম্পিউটার সায়েন্স শাখার স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। মৃত তরুণীর বাড়ি নেপালের বীরগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ স্থানীয় থানায় ওই ঘটনার খবর যায়। পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলও ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তৃতীয় বর্ষের এক নেপালি ছাত্রীর দেহ। ওই ঘটনার পরে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন নেপালি পড়ুয়ারা। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দপ্তরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

নেপালের বিদেশ মন্ত্রী আরজু রানা দেউবা এক্স হ্যান্ডলে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশ মন্ত্রকের তরফে উর্ধ্বতন আধিকারিকেরা ভারত সরকার, ওড়িশা সরকার এবং নয়াদিল্লিতে নেপালের দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে যাতে দ্রুত তদন্ত করে সত্য সামনে নিয়ে আসা হয়।