৫ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে আনলকের তৃতীয় পর্ব। আর তাতে সুখবর জিম মালিকদের জন্য। এই পর্বে খোলা যাবে জিম ও যোগা কেন্দ্র। তবে সিনেমা হল মালিকদের জন্য এবারও সুখবর এল না। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রকাশিত আনলক তিনের গাইডলাইনে বলা হয়েছে। এখনও বন্ধ থাকবে সিনেমা হল। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের কোনও শহরে মেট্রোও চলবেনা।
আনলক এক এবং দুইয়ের সময় দেশে নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। আনলক তিনে আর নাইট কারফিউ থাকছে না। রাতে পরিবহন ইত্যাদি এবার চালু করা যাবে। এখন থেকে রাতের শিফটে কাজও হবে কলকারখানায়। তবে এখনও বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, সব রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সুইমিং পুল এবং বিনোদনমূলক ক্লাব।
জিম ও যোগ কেন্দ্র খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মতো যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সিনেমা হল মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি ছিল, ২৫ শতাংশ দর্শক নিয়ে হল খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই মর্মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু আনলক তিনের গাইডলাইনেই স্পষ্ট, সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। মেট্রো রেলের ক্ষেত্রেও এক।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং দিল্লি সরকার অনেক আগেই মেট্রো রেল চালু করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু এবারেও সেই অনুমতি দিল না কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনের শুরু থেকেই সব শহরে বন্ধ রয়েছে মেট্রো রেল পরিষেবা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে আনলক তিনেও কোনও রকম ধর্মীয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য বড় সমায়েত করা যাবে না। দেশের সর্বত্র সব ধরনের বড় জমায়েতের ওপর নিষেধআজ্ঞা বজায় থাকছে।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে- আগামী ৫ আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে কী হবে? সেখানে তো খোদ প্রধানমন্ত্রীরও উপস্থিত থাকার কথা। তবে কি রামমন্দির ট্রাস্টকে এ ব্যাপারে ছাড়া দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে- আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সর্বত্র সব কনটেইনমেন্ট জোনে কড়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে নতুন করে কড়া লকডাউনের জন্য রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় সাপ্তাহিক লকডাউন শুরু হয়েছে। দেশের সব জায়গাতেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু জমায়েত করা যাবে না।
