কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ বলিউড সেলিব্রিটি থেকে শুরু বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা এমনকি ক্রীড়াবিদরাও। সেই তালিকা থেকে এবার বাদ পড়লেন না বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়ও। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। এই সব অপকর্মের ফলে কার কী ক্ষতি হল, তা দেখার বা ভাবার বিন্দুমাত্র প্রয়োজনবোধ করেন না নেট দুনিয়ার এই অপরাধীরা। ক্ষণিকের আনন্দ আর প্রচারের প্রলোভনে পড়ে যে কোনও ভিভিআইপি নাগরিকের কল্পনাপ্রসূত অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে এবার সরব হলেন অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ। তিনি সটান দিল্লি হাইকোর্টে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এইসব অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও এবং কোনোরূপ অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপনেও আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।
পূর্বে একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনও। গত নভেম্বরে এই সমস্যার সম্মুখীন হন ‘বিগ বি’। বিষয়টি নিয়ে তিনিও দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই আদালত একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশে বিনা অনুমতিতে অমিতাভের কণ্ঠস্বর কিংবা ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
Advertisement
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঐশ্বর্যর অন্তরঙ্গ ও বিতর্কিত ছবি তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ক্ষণিকের বাহবা কুড়োচ্ছেন একশ্রেণীর নেট অপরাধীরা। পাশাপাশি তাঁর ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা পণ্য সামগ্রী। ইতিমধ্যে ঐশ্বর্যের আইনজীবী আদালতে সমস্ত নথি জমা দিয়েছেন। আবেদন জানানো হয়েছে, কোনোরকম অসৎ উদ্দেশ্যে যেন তাঁর ছবি ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জনকারী ঐশ্বর্য আদালতে জানিয়েছেন, তাঁর যে ছবি সামাজিক মাধ্যমে যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা আসল নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এ আই দিয়ে বানানো হয়েছে। তিনি এমন ছবি ব্যবহারের কোনও অনুমতি কাউকে দেননি। পাশাপাশি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী অভিযোগ জানিয়েছেন, শুধু তাঁর নয়, বিভিন্ন অভিনেত্রীর যে সব ছবি ব্যবহার করে ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন তৈরির প্রবণতা বেড়েছে, সে সবের বিরুদ্ধেও আদালতকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এআই ব্যবহার শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নানান বিতর্কিত ছবি তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে নেট দুনিয়ার অপরাধীরা। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সম্প্রতি এ আই দিয়ে বানানো স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের আপত্তিকর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবার পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছদের পর তাঁর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির অন্তরঙ্গ ছবি তৈরি করে, তা সামাজিক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন আগে এআই প্রযুক্তির এই যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহাও সরব হয়েছিলেন। কোনও অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবহার করা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন। এবার চটেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনও।
Advertisement



