• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি মমতা ও অভিষেকের

বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বারুণী মেলা। শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে পুণ্যস্নান সেরেছেন উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মানুষ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফাইল চিত্র

বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বারুণী মেলা। শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে পুণ্যস্নান সেরেছেন উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মানুষ। সুদূর লন্ডনে ব্যস্ত থাকলেও নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ভুলে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে লন্ডন থেকে এক্স হ্যান্ডেলে মতুয়া সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলি শ্রীহরিচাঁদ এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতিও। অন্যদিকে, প্রতিবারের মত এবারও হরিচাঁদ এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জয় হরিবল, জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবারুণী, পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বিশ্বের সাধু, গোঁসাই, পাগল, দলপতি, মতুয়াভক্তবৃন্দ নির্বিশেষে সকলকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বিশ্বের সাধু, গোঁসাই, পাগল, দলপতি, মতুয়াভক্তবৃন্দ নির্বিশেষে সকলকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’ প্রসঙ্গত, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে এবং তাঁর নির্দেশে বারুণী মেলায় গিয়েছিলেন রাজ্যের দমকলন্ত্রী সুজিত বসু। প্রথমে তিনি ঠাকুর বাড়িতে বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে গিয়ে সেখানে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন। পরে হরিমন্দিরে গিয়ে ঠাকুরের মূর্তিতেও মাল্যদান করে পুজো দিয়েছিলেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক ছিলেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া দলিত উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পূর্বেও অভিষেক লিখেছিলেন, ‘একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে তিনি দরিদ্রদের শিক্ষিত ও ক্ষমতায়নের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ শুধু মতুয়া সম্প্রদায়কে নয়, আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে।’ মতুয়াদের আবেগের বারুণী মেলা এবছর ২১৪তম বর্ষে পদার্পণ করল। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে মেলার অনুমতি পেয়ে আসছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এর বিরোধিতা করলে মামলা গড়ায় আদালতে। সেখানেও হার হয় বিজেপি সাংসদের। মমতাবালার নেতৃত্বেই ফের জমজমাট বারুণী মেলা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই করলা নদীর পাড়ে বারুণী স্নানে কয়েকশো মতুয়াদের ভিড়। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ প্রশাসন।

Advertisement

Advertisement

Advertisement