• facebook
  • twitter
Thursday, 31 July, 2025

বোরনের অভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে সমস্যায় কপি চাষ

তবে কৃষি দপ্তরের দাবি, এই সমস্যা পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনো বড় আকার ধারণ করেনি।

প্রতীকী চিত্র।

শীতকালের ফসল বলতে সবাই বোঝে ফুলকপি, বাঁধাকপিকেই । পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই কপি চাষীরাই এখন সমস্যার মুখে পড়েছেন। মাটিতে বোরনের অভাবে কপির রং, চেহারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেই কপি বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন চাষীরা। সঠিক দাম তাঁরা পাচ্ছেন না।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার মৃদুল ভক্ত বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটিতে বোরনের অভাব রয়েছে । বোরনের অভাবে কপির চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। কপি বিক্রি করতে সমস্যা হয় । বোরনের এই অভাব মেটানোর জন্য আমরা চাষীদের গাছের পাতায় বোরন স্প্রে করতে বলি । কী কারণে মাটিতে বোরন কমে যায়, তার সঠিক ব্যাখ্যা অবশ্য কৃষি দপ্তরের কাছে নেই।

জেলার কৃষি সহ-অধিকর্তা বলেন, রাসায়নিক সারের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য মাটিতে বোরন কমে যেতে পারে । কিন্তু এটা পরীক্ষিত সত্য নয়। তিনি বলেন, আমরা মাটিতে বোরন ব্যবহার করতে না করি, তার কারণ বোরন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। কোনও কোনও কৃষি বিশেষজ্ঞ অবশ্য মাটি তৈরি করার সময় বোরন ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের চাষী মহাদেব ঘোষ বলেন, আমাদের ক্ষেতের কপি বেগুনি হয়ে যাচ্ছে। ব্লকের কৃষি দফতরে যোগাযোগ করলে ওঁরা বোরন স্প্রে করতে বলেন। একই কথা শোনা গেল ওই ব্লকের চাষী জিতেন সামন্তের গলাতেও।

মাটিতে বোরনের অভাব হলে শুধু ফুলকপির রং বা চেহারা নষ্ট হয় তাই নয় – ধান চিটচিটে হয়ে যেতে পারে, আলু বা শশা গাছের কাণ্ড ফেটে যেতে পারে। শস্যের ফুল হয়, কিন্তু ফল ঝরে যায়। বোরনের অভাবে চাষীদের এইসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে কৃষি দপ্তরের দাবি, এই সমস্যা পশ্চিম মেদিনীপুরে এখনো বড় আকার ধারণ করেনি।

News Hub