• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

মহেশতলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য অভিষেকের

দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতিতে দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, ইটবৃষ্টিতে জখম হয় পুলিশও। এরপরই 'অ্যাকশন'-এ নামে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

মহেশতলা-কাণ্ডের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। পুলিশি তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। চলছে ধরপাকড়ও। এবার দু’দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঘটনায় হস্তক্ষেপ করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহেশতলায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও পরিবারগুলিকে সবধরনের সাহায্য করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেন স্থানীয় সাংসদ। নির্দেশ পাওয়ার পরই শনিবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং দোকানগুলির তালিকা তৈরি করতে শুরু করলেন দলের কর্মীরা।

এ বিষয়ে একজনও যেন সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হন, তাও দলের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেল থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে মহেশতলা। পুলিশ সূত্রের খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অশান্ত পরিস্থিতিতে দোকান-বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, ইটবৃষ্টিতে জখম হয় পুলিশও। এরপরই ‘অ্যাকশন’-এ নামে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ।

বৃহস্পতিবারই পুলিশ মোট সাতটি মামলা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় গ্রেফতার করে ৪০ জনকে। সেই সঙ্গে বজবজ থেকে বিস্ফোরক-সহ ৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন এক সক্রিয় আরএসএস কর্মী নবীনচন্দ্র রায়ও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। মহেশতলা-কাণ্ড বিজেপির ‘বিরাট ষড়যন্ত্র’ বলেই দাবি তৃণমূলের। তবে চিরাচরিত ভঙ্গিতে এই তরজার মধ্যে শামিল হননি সাংসদ অভিষেক, নিঃশব্দে বাড়িয়ে দিলেন নিজের সাহায্যের হাত। পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে যেভাবে পাল্টা ‘অ্যাকশন’ নিয়েছে, তাতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।