সাধারণত অফিসে বাথরুমগুলি বদ্ধ এবং ছোট হয়। ফলে এরকম জায়গায় ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রথমেই খেয়াল রাখুন, বাথরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করা বা সাজগোজ করাটা মোটেই নিরাপদ নয়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ সারুন। বাথরুমে ঢোকার দরজার হাতলে সরাসরি হাত দেবেন না। তা ধরুন টিস্যু দিয়ে। কলের মাথাটাও ওইভাবে খুলে নিন, তারপর টিস্যু ফেলে দেবেন। হাত ধুয়ে নিন সাবান দিয়ে। কোনও অসুস্থ ব্যক্তি যদি আপনার আগে টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনারও সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকবে। স্যানিটাইজার ছড়িয়ে টিস্যু দিয়ে টয়লেট সিট মুছে নিন, তারপর তা ব্যবহার করুন। টয়লেট স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন।
মহিলাদের ইন্টিমেট হাইজিন খুব জরুরি একটি বিষয়। নিজেকে ধুয়ে নিন ভালো করে। তারপর শুকনো করে মুছে নিতেও হবে। স্যাঁতসেঁতে থাকলে কিন্তু ভ্যাজাইনা বা ভালভায় নানা সংক্রমণ হতে পারে। ফ্লাশ করার পর টয়লেট সিট ফের একবার স্যানিটাইজ করে দিন পরের ব্যবহারকারীর জন্য। বেরিয়ে এসে খুব ভালো করে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন।
ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন মহিলাদের একটা বড় সমস্যা। কোনও কোনও মহিলা বেশ কয়েকবার এই ধরনের সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। মহিলাদের যৌনাঙ্গে ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণ খুবই সাধারণ ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণের তীব্রতার উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। সংক্রমণ হলে সেটি এড়িয়ে যাওয়ার পরিণাম অনেক সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হলে যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেটা কিনা গর্ভের শিশুর উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ভ্যাজাইনাল সংক্রমণ হলে জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের মুখ্য কারণ হল পার্সোনাল হাইজিন মেনে না চলা। সংক্রমণের কারণে লিউকোরিয়ার সমস্যাও হতে পারে। এর ফলে দুর্গন্ধ-যুক্ত সাদা স্রাব নির্গত হওয়া, পেটে এবং কোমরে ব্যথা হওয়ার উপসর্গ দেখা যায়।
সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলি হল, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস এবং অ্যান্টিবায়োটিক্স-এর ব্যবহার। কিন্তু সর্বাগ্রে মেনে চলতে হবে পার্সোনাল হাইজিন। মেনে চলুন যৌন স্বাস্থ্যবিধিও। প্রতিদিন বদলান অন্তর্বাস, সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করাও খুব জরুরি অভ্যাস।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নোংরা টয়লেট ব্যবহার করবেন না। যে- টয়লেটে বহু মানুষের আনাগোনা, সেই টয়লেট খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এরকম জায়গা থেকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হওয়ার বিপদ খুব বেশি থাকে।
জল খাওয়া কমাবেন না, তাতে কিন্তু আরও নানান জটিল সমস্যা হতে পারে। দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল খেতেই হবে। বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে গিয়ে ব্লাডার খালি করে আসতেই হবে।