অনেকসময় বাড়ির কিছু কাজ করতে গিয়ে হাতের তালুতে ব্যথা অনুভব করেন অনেকেই। বাসন মাজা, রান্না করা, সবজি কাটা বা ভেজা জামাকাপড় নিংড়ানোর সময় হাতের তালুতে অসহ্য যন্ত্রণা হলে, বিষয়টি উপেক্ষা না করে বরং এই ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার। এই ব্যথার পিছনে থাকতে পারে বিশেষ কারণ। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন যে, হাতের কব্জির স্নায়ুতে আঘাত পেলে হাতের তালুতে এই ধরনের ব্যথা হয়। চিকিৎসকেরা এই রোগকে বলেন পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। কোনো ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘদিন ধরে যদি শর্করারা মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া কোনও আঘাত বা দুর্ঘটনা থেকেও স্নায়ুর কর্মক্ষমতা ক্ষীণ হতে পারে।
এই রোগ চিহ্নিত করার কিছু উপায় রয়েছে। স্নায়ুতে আঘাত পেলে হাতের মুঠোয় জোর পাওয়া যায় না এবং পেশি দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে হাতের পেশি শিথিল হয় এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যায়। আচমকা হাত অবশ হয়ে পড়ে। হাতে প্রায়ই ঝিঁঝিঁ ধরার মতন অনুভূতি হয়। হাতের এই ব্যথা অনেকসময় একটা জায়গা থেকে শুরু হয় এবং অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকসময় হাতের তালুতে ব্যথা করলে ফিজিওথেরাপি করান অনেকেই, তাতে সাময়িকভাবে ব্যথা কমলেও সমস্যাটি মূল থেকে নিরাময় করা যায়না। এইরকম যন্ত্রণা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই কাম্য।
Advertisement
এই রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। খাওয়ার বড়ি, ইঞ্জেকশান ইত্যাদি রোগীদের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। কিছুক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছিন্ন স্নায়ু আবার সংযুক্ত করা হয়। অনেক সময় আকুপাংচার, ট্রান্সকুটেনিয়াস ইলেকট্রিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেশন, স্পাইনাল কর্ড স্টিমুলেটর ইমপ্লান্ট করার জন্যও অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
Advertisement
Advertisement



