দিল্লি, ১৭ এপ্রিল – জ্ঞানবাপী মসজিদে মুসলিমদের নামাজের আগে ওজুর সুব্যবস্থা রাখার জন্য বারাণসীর জেলাশাসককে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারেই এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামাজের আগে হাত ও মুখ ধোয়ার জন্য জলের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৭ মে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারের কাছে শিবলিঙ্গের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু কোনও ভাবেই মসজিদে নামাজ বন্ধ করা যাবে না। সেই অন্তর্বর্তী নির্দেশের সময়সীমা গত ১১ নভেম্বের শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার শুনানির সময়, সিনিয়র অ্যাডভোকেট হুজেফা আহমাদি, মসজিদ কমিটির পক্ষে উপস্থিত হন। তিনি দাবী করেন যে, ফোয়ারার কাছে যেখানে ওজু করা হত এবং তার কাছাকাছি নির্দিষ্ট ওয়াশ রুম ছিল। তিনি আরও বলেন, গত বছর যে এলাকায় একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল সেটিকে রক্ষা করার আদেশের পর, পুরো এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি অনুরোধটি বিবেচনা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি আদেশের অনুরোধ করেছিলেন।
১৭ মে শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের আগেই বারাণসী নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকরের এজলাসে আদালত নিযুক্ত কোর্ট কমিশনার এবং আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই-এর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে শিবলিঙ্গের অস্তিত্বের কথা বলা হয়। এর পর বিচারক রবিকুমার দিবাকর মসজিদের ভেতরের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশে বলা হয়, বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি, সিআরপিএফের এক জন কমান্ড্যান্ট স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তরিত হলেও ওজুখানার তালা খোলা হয়নি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপীতে নমাজের অধিকার পেলেও ওজুর জন্য স্থান এবং জলের অভাব ছিল বলে অভিযোগ ‘অঞ্জুমান ইন্তেজ়ামিয়া বা জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি’র। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জ্ঞানবাপীতে মুসলিমদের নমাজের জন্য ওজুর ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
