ভদোদরা, ৩০ নভেম্বর– শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ মালিক পক্ষের কাছে রাখার জন্যই থাকে শ্রমিক সংগঠন। মালিকপক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের মাঝখানের সেতুবন্ধন করে শ্রমিক সংগঠন। কিন্তু যদি সেই সংগঠনকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয় তাহলে শ্রমিদের তো আর কোনো জায়গায় নেই। ঠিক এমনই অবস্থা খোদ মোদির রাজ্য গুজরাটে। যেখানে রয়েছে কয়েক হাজার চালু কারখানা। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। কিন্তু নেই শুধু কোনো শ্রমিক সংগঠন। কারণ ওখানে সংগঠন করা নিষিদ্ধ শ্রমিকদের জন্য।
গুজরাট যেন দেশের মধ্যে আরেকটি দেশ। এখানে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা অপরাধ। বলা হবে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’। স্থান হবে গারদের ভিতরে। মোদি-গড়ে লাল ঝান্ডা ‘কার্যত’ নিষিদ্ধ। জানালেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক সদস্য। রয়েছে নেতৃত্বের দুর্বলতাও। তাই পার্টি এখানে থমকে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ঠিক উলটো চিত্র শিল্প-বাণিজ্যের রাজ্য গুজরাটে। এখানে কলকারখানা আছে। প্রতিদিন চাহিদা মতো উৎপাদন আছে। শ্রমিকদের হাড়ভাঙা খাটুনি আছে। আছে মালিকপক্ষের শোষণ। তবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে পার্থক্য একটাই। বাংলায় প্রচুর উর্বর জমি। কিন্তু গুজরাটে অধিকাংশ জমি অনুর্বর। আবার বাংলার মতো ভূমি-সংস্কার হয়নি। তাই কারখানা করতে জমির অভাব হয় না।
Advertisement
এখানে কাজ করো, বেতন নাও। অন্যথা নতুন কাজ খুঁজে নাও। গোটা গুজরাট জুড়েই এই নিয়ম। ‘শেঠ’রাই শেষ কথা। এখানে ঝান্ডাবাজি চলবে না। নিয়োগের সময়েই মুচলেকা দিতে হয়।
Advertisement
Advertisement



