• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

মণিপুরে ৩ থানায় জনতার হামলা, গুলিতে মৃত ১ পুলিশ, বিপুল অস্ত্র ছিনতাই

ইম্ফল, ৪ আগস্ট-– তিন মাস অতিক্রান্ত তবুও বিরতি নেই হিংসায়। বরং বেড়েছে মণিপুরে অশান্তি । বৃহস্পতিবার থেকে হামলার ঘটনা আরও বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। ইম্ফলের অদূরে বিষ্ণুপুর জেলায় বৃহস্পতিবার দিনরাত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মহিলাদের সংঘর্ষ হয়। ওই জেলাতেই গভীর রাতে তিনটি থানা আক্রমণ করে সশস্ত্র লোকজন। পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলে গোটা রাত। হামলাকারীরা

ইম্ফল, ৪ আগস্ট-– তিন মাস অতিক্রান্ত তবুও বিরতি নেই হিংসায়। বরং বেড়েছে মণিপুরে অশান্তি । বৃহস্পতিবার থেকে হামলার ঘটনা আরও বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। ইম্ফলের অদূরে বিষ্ণুপুর জেলায় বৃহস্পতিবার দিনরাত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মহিলাদের সংঘর্ষ হয়। ওই জেলাতেই গভীর রাতে তিনটি থানা আক্রমণ করে সশস্ত্র লোকজন। পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলে গোটা রাত। হামলাকারীরা এক পুলিশ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে। অতিরিক্ত বাহিনী আসার আগেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ছিনতাই করে গা ঢাকা দেয় তারা।

বৃহস্পতিবারই মণিপুরের অশান্তি তিন মাস পেরিয়েছে। লক্ষণীয় বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাঝ রাতের গোলমাল হয়েছে মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে। রাজধানী ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। রাজধানী লাগোয়া ওই জেলায় মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। হিংসার ঘটনায় সেখানে প্রায় চল্লিশজন কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হন। তাদের দেহ সরকারি মর্গে রাখা আছে। মেইতেইদের বাধায় গণকবর দেওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার নতুন করে সেই চেষ্টা হলে মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকেরা অসম রাইফেল্সের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কবরস্থানের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তুমুল সংঘর্ষ হয়। অসম রাইফেল্সের জওয়ানেরা লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। কিন্তু অশান্তির মুখে ফের গণকবর দেওয়ার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।

বিষ্ণপুরের পাশের জেলাই হল কুকি অধ্যুষিত চূড়াইচাঁদপুর। দুই জেলার মধ্যবর্তী এলাকায় বিপুল সংখ্যায় সেনা ও আধা সেনা মোতায়েন আছে। দু পক্ষই বেষ্টনী ভেঙে অপর পক্ষের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার রাতের হামলার পিছনে অস্ত্র ছিনতাই-ই উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে মণিপুর পুলিশ ও অসম রাইফেল্সের অস্ত্রাগার লুঠ হয়েছে। তিন হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করা হয়। পুলিশ-সেনা-আধাসেনার যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কিছু এলাকাকে অস্ত্রমুক্ত করেছে। মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্যই থানা আক্রমণ করে অস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। কারণ গোলমাল শুরুর পর সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোয় অস্ত্র পাচারে লাগাম পরানো গিয়েছে।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সশস্ত্র আক্রমণকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে কাউতরুক, হারাওথেল এবং সেনজাম চিরাং এলাকায় গুলি বিনিময় হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশ কর্মী নিহত এবং নিরাপত্তাকর্মীসহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের একজন গ্রাম সেবক।

হামলাকারীরা নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকা কাউতরুক এবং সেনজাম চিরাং এলাকা থেকে আসে। শ-পাঁচেক মানুষ বিষ্ণুপুর ও চুড়াইচাঁদপুর জেলার মধ্যবর্তী ফুগাকচাও ইখাইতে মাঝরাতে জড়ো হয়। নিরাপত্তা বাহিনী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরে সেই জনতাই তিনটি থানায় গিয়ে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাই করে।