কোনও কোনও জায়গাকে ঈশ্বর অনেক সময় নিয়ে, যত্ন করে, নিজের হাতে সাজান। কেরালা এমনই একটি রাজ্য যাকে ‘God’s own country’ এমনি এমনি বলা হয় না। সারি সারি নারকেল গাছ, রাজকীয় হাউসবোট, চা-বাগান, সবুজ পাহাড়, মায়াবী সমুদ্র সৈকত, জলপ্রপাত, চার্চ, প্যালেস, মিউজিয়াম, ব্যাকওয়াটার, সিনাগগ কী নেই এখানে! প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। প্রতিদিন সন্ধেবেলা একদিকে যখন কথাকলি কিংবা মোহিনীঅট্টম নৃত্যের আসর বসে, তেমনই সেই মৃদঙ্গের তালে তালে নৃত্যরত হয় সমুদ্রের তরঙ্গমালা। জাহাজ থেকে ঠিকরে আসা আলো প্রতিবিম্বিত হয়ে জোনাকির মতো ঘিরে থাকে সমুদ্রের চারিদিক।
আমাদের কেরালা ভ্রমণের বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই ঘোরা হয়ে গেছে। ঢেউখেলানো চা-বাগানে সজ্জিত সবচেয়ে জনপ্রিয় শৈলশহর মুন্নার, পেরিয়ার লেকের জলসফর শেষে এবার গন্তব্য আলেপ্পি, ভালোবেসে যাকে ‘ভেনিস অফ দ্য ইস্ট’ বলা হয়। এখানেই অবস্থিত কেরালার বিখ্যাত ব্যাকওয়াটার। গোটা কেরালার বুকে একটা মালার মতো ধারণ করে রয়েছে অজস্র খাঁড়ি, হ্রদ, লেগুন, নদী, প্রাকৃতিকভাবে এবং মনুষ্যসৃষ্ট ক্যানেল। এগুলো মিলিয়ে মিশিয়ে এমনভাবে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে যাদের তীরে গড়ে ওঠা গ্রামগুলোতে একমাত্র জলযানের মাধ্যমেই যাতায়াত করতে হয়।
Advertisement
সবকিছু মিলিয়ে গোটা কেরালা জুড়ে রয়েছে প্রায় ৯০০ কিলোমিটারব্যাপী জলপথ যার আশেপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্রাম, জনপদ, চাষের ক্ষেত। এদেরই মাঝে ব্যাকওয়াটার হল জলপথে চলাচলের জন্য একটা বিরাট বড় নেটওয়ার্ক। এই সুবিশাল জলপথ শুধুমাত্র পর্যটকদের ভ্রমণের জন্যই নয়, আশেপাশের জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসলও ফলানো হয়।
Advertisement
কেরালার সমগ্র ব্যাকওয়াটারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ আলেপ্পির ব্যাকওয়াটার। মিষ্টি জলের ব্যাকওয়াটারে যাতে সমুদ্রের নোনা জল মিশে না যায় সেইজন্য ভেম্বানাদ হ্রদে একটা ব্যারেজ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক দিক থেকেও এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইউরোপীয় বণিকরা বিশেষ করে পর্তুগিজরা এই অঞ্চলেই বসতি স্থাপন করেছিল। তারা এখানকার বিখ্যাত মশলার জন্য প্রতিনিয়ত বাণিজ্য করতে আসত।
সেই ধারা এখনও অব্যাহত আছে। প্রতি বছর ট্যুরিস্ট মরশুমে বিদেশ থেকে অগণিত বিদেশী পর্যটকরা কেরলে আসেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আলেপ্পি ব্যাকওয়াটারে দু’ভাবে যাত্রা করা যায়। ঘন্টা পিছু বোটের ভাড়া মেলে। আবার পুরো দিনের জন্যও ভাড়া করা যায়। তবে বর্তমানে নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে তিন ঘন্টার জন্য বোট ভাড়া নিতেই হবে। বোটও নানা প্রকারের– স্পিডবোট, হাউস বোট, নর্মাল বোট, ক্রুজ ইত্যাদি। বোট ভাড়া করার স্টার্টিং পয়েন্টে নানা রঙের বোট সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা রয়েছে। নানারঙা সেই বোটগুলি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে।
আমাদের দলের ম্যানেজার আগে থেকেই বোট ভাড়া করে রেখেছিলেন। সেই নির্দিষ্ট দ্বিতল বোটে উঠে বসতেই শুরু হল এক আশ্চর্য জলভ্রমণ। ভ্রমণ করার সুবাদে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নৌকো বা লঞ্চে করে ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখানে জলভ্রমণ শুরু হতেই সেই সব জায়গার সঙ্গে আলেপ্পির এই বিখ্যাত ব্যাকওয়াটারে জলভ্রমণের পার্থক্য বুঝতে পারলাম। অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ নিয়ে খালপথ ধরে এগিয়ে চলেছি। এদিকের নৌকো চালকদের বলা হয় সারেং। তার সঙ্গে থাকে আরও দুজন সহযোগী।
সময় যত এগোতে থাকে তাদের সঙ্গে হিন্দি আর ইংলিশ ভাষার মিশ্রিত কথোপকথনে সাবলীলতা খুঁজে পাই। বুঝতে পারি কেরালার এই ব্যাকওয়াটারের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এখানকার অর্থনীতির অনেকটা অংশ এর উপর নির্ভরশীল। নির্দিষ্ট দূরত্বে ফেরিঘাট আছে এবং সেখানে চলাচলের জন্য সরকারিভাবে ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাও আছে। একের পর এক নদী, খাঁড়ি, ক্যানেল পেরিয়ে যাচ্ছি। তারা একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছে কখন যে নদী পেরিয়ে, খাল, খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করে জলপথ অতিক্রম করে যাচ্ছি সেটা কেউই টের পাচ্ছি না। মাঝে মাঝে সারেং ও তাঁর সঙ্গীরা জানাচ্ছেন কোথায় কোন বলিউডি মুভির গানের দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল।
নদীর দুই পাড় জুড়ে সবুজের বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি নারকেল গাছ, আম, কাঁঠাল, সুপারি, পেঁপে, তাল, পেয়ারা, বাঁশ, শাল, সেগুন গাছও। ঝকঝকে সোনা রোদে তাদের প্রতিফলনে নদীর জলও হয়ে উঠেছে সবুজ। মাঝে মাঝে সারেং ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলে আশেপাশের গ্রামগুলোর নাম আর এখানকার বাসিন্দাদের রোজনামচার গল্প শুনতে শুনতে এগিয়ে চলেছি।
তাদের গল্পকথায় জানতে পারলাম এদের প্রধান জীবিকা মাছ ধরা আর চাষবাস। প্রত্যেকের বাড়ির সামনে একটি ঘাট আর তার পাশে একটি করে ছোট ডিঙি বা বড় নৌকা বাঁধা আছে যা দেখে মনে পড়ে ‘নদীর ঘাটের কাছে নৌকো বাঁধা আছে,/ নাইতে যখন যাই, দেখি সে জলের ঢেউয়ে নাচে’- র বাস্তব রূপায়ন। দামাল কিশোর দলের জলের মধ্যে দাপাদাপি, কোথাও বা বাড়ির প্রবীণ পুরুষটির ছিপ হাতে অলস সময় যাপন করা, কোথাও অল্পবয়সী তরুণদের ক্রিকেট, ফুটবল খেলা কিংবা খোশগল্পে মত্ত, বাড়ির মেয়ে-বউদের বাসনকোসন, কাপড়চোপড় ধোয়াধুয়ির কাজ সেরে নেওয়ার মতো গ্রাম্য জীবনের খণ্ড খণ্ড চিত্রের পাশাপাশি নীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ, নদীর জলে সবুজ গাছেদের প্রতিফলনের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মাঝে মাঝে পানকৌড়ির ডুব দেওয়া কিংবা মাছরাঙার ঠোঁটে করে মাছ তুলে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে এগিয়ে চলি।
হঠাৎই পাশ দিয়ে ভেসে গেল একটি সুসজ্জিত হাউসবোট। তবে হাউসবোট বললে প্রথমেই মানসপটে বিখ্যাত ডাললেকের যে ছবি ভেসে ওঠে সেগুলোর সঙ্গে এখানকার হাউসবোটের একটু পার্থক্য আছে। ডাললেকের হাউসবোটগুলো এক জায়গায় স্থির থাকে। কিন্তু এখানকার হাউসবোটগুলো ভ্রাম্যমাণ। তবে রাতে কোনও একটি ঘাটের পাশে আশ্রয় নিতে হয়। কারণ রাতে চলাচল করা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ।
পরদিন আবার চলা শুরু করে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে তার যাত্রা শেষ হয়। তবে ডাললেকের মতোই এখানেও চলমান নৌকোয় বাজার বসেছে দেখলাম। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে ফুল, ঘর সাজানোর জিনিসও বিক্রি হচ্ছে। স্কুল ড্রেস পরা একদল শিশু আমাদের দিকে হেসে হাত নাড়তে নাড়তে চলে গেল। বুঝলাম এমন দৃশ্য দেখতে তারা অভ্যস্ত।
সারেং ভাইয়ের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম এক সময়ে এখানকার জলপথে মালপত্র বহন করত যেসব পরিবহনযান স্থানীয় ভাষায় যাদের নাম ‘কেট্টুভাল্লাম’ সেগুলিকেই নানাভাবে সাজিয়ে হাউসবোট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং নানা ধরনের পরিষেবার ভিন্নতার ওপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে মূলত প্লাটিনাম, গোল্ড এবং সিলভার এই তিন ধরনের পরিষেবা চালু আছে।
জলপথে পরিভ্রমণের সময় একটি আশ্চর্য জিনিস চোখে পড়ল। পেরিয়ার লেকে যাওয়ার সময়ও দেখেছিলাম বেশ কিছু জলজ আগাছার ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা তাদের সুখের নীড় গড়ে তুলেছে। এখানেও সেরকমই বেশ কিছু ভাসমান আগাছা দেখতে পাচ্ছিলাম অনেকক্ষণ ধরেই। প্রথমে কচুরিপানার আগাছা ভেবেছিলাম। এরপর ওপরের ডেক থেকে বেশ বড় গোলাকার মৌচাকের মতো দেখতে এমনই একটি আগাছার সামনে তাকিয়ে দেখি সেগুলো নড়াচড়া করছে।
এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে সারেং ভাই হেসে জবাব দিলেন আমি যে ধরনের আগাছা ভাবছি এগুলো তা নয়। আসলে এরা এক ঝাঁক হাঁসের দল। শুনেই অবাক হয়ে ভালো করে আবার তাকিয়ে দেখলাম সত্যিই তো সেখানে অনেক ছোট ছোট হাঁসের বাচ্চা কুন্ডলি পাকিয়ে রয়েছে। এরা আশেপাশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সারাদিন জলে ভেসে বেড়ায়, নিত্যদিনের আহার সংগ্রহ করে আবার সন্ধ্যার সময় ঠিক নিজের নিজের বাড়িতেই ফিরে যায়। যারা একটু দূরে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে তাদের মালিক এক অদ্ভুত কায়দায় ডেকে তাদের ঘরে ফিরিয়ে আনে।
বুঝলাম এসব গ্রামের অর্থনীতি হাঁসপালনের ওপরেও অনেকটা নির্ভরশীল। এত বৈচিত্র্যময় জলজীবন খুব কমই দেখেছি। এরপর একটা জায়গা দেখে লঞ্চ ভিড়িয়ে এক ঘন্টার লাঞ্চ বিরতি দেওয়া হল। এখানে পর্যটকরা তাদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী দ্বিপ্রাহরিক আহার সেরে নিতে পারেন। বেশ কিছু হোটেল, রেস্টুরেন্ট আছে। যে জায়গায় বেড়াতে যাই সেখানকার লোকাল ফ্লেভার নেওয়ার জন্য স্থানীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। সেই অনুযায়ী একটা কেরালিয়ান থালির অর্ডার দিলাম যার মধ্যে এখানকার বিখ্যাত মাছ কারিমিনও ছিল। এই মাছ দেখতে অনেকটা তেলাপিয়া মাছের মতো, খেতে ভারী সুস্বাদু।
আহার পর্ব মিটে যেতে আবার যাত্রা শুরু। আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের বোটের লোকজন হাত নেড়ে অনাবিল আনন্দের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এগিয়ে চলেছেন। আমরাও প্রত্যুত্তরে হাত নেড়ে তার জবাব দিই। অনেক বিদেশীদেরও চোখে পড়ল। এবার বেশ কিছুটা দূর এগিয়ে যাওয়ার পর এক জায়গায় দেখলাম দলবদ্ধভাবে প্রায় ১০০ ফুট লম্বা আর ১০ ফুট উচ্চতায় সরু সরু এক ধরনের নৌকো চালানোর অনুশীলন হচ্ছে।
জানতে পারলাম কেরালার বিখ্যাত বোট রেসের প্রস্তুতি চলছে। কিছু নৌকো সামনের দিকের মাথা সাপের ফণার মতো তুলে রয়েছে যাদের বলা হয় স্নেকবোট, স্থানীয় নাম ‘চুন্দন-ভল্লম’। কেরালার মানুষদের কাছে এই বোটরেস একটি বিখ্যাত প্রতিযোগিতামূলক খেলা এবং আনন্দ অনুষ্ঠান। এই আনন্দযজ্ঞে সামিল হন দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ। এই খেলায় যে ‘নেহেরু ট্রফি’ দেওয়া হয় তার পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। ১৯৫২ সালে জহরলাল নেহেরু যখন এখানে এসেছিলেন তখন তাঁকে এই স্থানীয় চুন্দন-ভল্লম বোট রেস আয়োজনের মাধ্যমে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল।
সেই স্নেকবোট রেস দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে দিল্লিতে গিয়ে একটি রূপোর ট্রফি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে প্রতি বছর আগস্ট মাসে ‘ওনাম’ উৎসবের সময় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বোট রেস অনুষ্ঠিত হয় আলেপ্পির কুট্টানাদ অঞ্চলের পুন্নামাদা হ্রদে। তবে এই সময় কেরালার গোটা ব্যাকওয়াটার অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বোটরেস অনুষ্ঠিত হলেও এই অঞ্চলের রেসের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মলয়ালম ভাষায় এই রেসকে বলে ‘ভল্লম-কালী’। কেরালায় কিন্তু এই বোটরেসকে শুধুমাত্র সাধারণ একটা খেলা হিসেবে দেখা হয় না। পৌরুষত্বের শক্তি প্রদর্শনও এ খেলার একটা অঙ্গ।
প্রাথমিক নির্বাচনে অনেকগুলো পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ১০০ জন শক্ত সামর্থ্য পুরুষ চুন্দন-ভল্লম বোটে দাঁড় চালায়। এমনই সব তথ্য আর গল্পগুজবে সময় কেটে যায়। শান্ত, সুস্থির অনন্ত জলরাশির মাঝে সারিবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায় শত শত সাদা বকের দল যাদের দেখে মনে হয় বেলফুলের গুচ্ছ ফুটে রয়েছে সবুজের মাঝে। লোকাল ট্রান্সপোর্ট ‘ক্যানো’ ঘন্টা বাজিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখা দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ক্রমেই জীবন্ত হয়ে উঠতে থাকে।
কিন্তু এত সৌন্দর্যের মধ্যেও এমন কিছু চোখে পড়ল যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কিছু বর্জ্যপদার্থ ভেসে বেড়াচ্ছে যা এই পরিবেশে অত্যন্ত বেমানান। মোটরবোটের পোড়া তেলেও নদীর জল কলুষিত হচ্ছে। পরিবেশকে বাঁচিয়ে বাস্তুতন্ত্রকে ঠিক রেখে জলজ প্রাণীদের জীবন বিপন্ন না করে পর্যটনশিল্পের উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আলেপ্পি থেকে শুরু করে আমাদের ৫ ঘন্টার জলপথের ভ্রমণ শেষ হয় কোট্টায়ামে। সেখানে অপেক্ষারত গাড়িতে গিয়ে ওঠার পালা। এই জলসফর অসাধারণ এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়ে থেকে যাবে কেরালা ভ্রমণের স্মৃতির অ্যালবামে।
Advertisement



