• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বিশ্বে প্রতি পাঁচজন মহিলার একজন ভারতীয় জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত, জানাল ল্যানসেট

দিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর–ক্যানসারই পৃথিবীর একমাত্র অসুখ যার ঠিক-ঠাক নিরাময় এখনও অধরা। এই নাম শোনা মানেই বিভীষিকা। জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্সের ক্যানসার হয়েছে শুনলে আতঙ্ক আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেশের মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের হার এমনতিও বেশি। তার ওপর জরায়ুর ক্যানসার মানে উদ্বেগের পারদ আরও বেশি চড়ে। জরায়ুমুখের ক্যানসারকে বলে সার্ভিকাল ক্যানসার। এ দেশের মহিলাদের এই ক্যানসারই

দিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর–ক্যানসারই পৃথিবীর একমাত্র অসুখ যার ঠিক-ঠাক নিরাময় এখনও অধরা। এই নাম শোনা মানেই বিভীষিকা। জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্সের ক্যানসার হয়েছে শুনলে আতঙ্ক আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেশের মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের হার এমনতিও বেশি। তার ওপর জরায়ুর ক্যানসার মানে উদ্বেগের পারদ আরও বেশি চড়ে। জরায়ুমুখের ক্যানসারকে বলে সার্ভিকাল ক্যানসার। এ দেশের মহিলাদের এই ক্যানসারই সবচেয়ে বেশি হয়। এ কথা আমরা বলছি না বলছে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট। ল্যানসেট জানাচ্ছে, বিশ্বে যতজন মহিলা জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়, তার ২১ শতাংশই ভারতীয়। এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

ল্যানসেটের সমীক্ষা বলছে, জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত বিশ্বে প্রতি পাঁচজন মহিলার একজনই ভারতীয়। যদি চারজনেরও মৃত্যু হয় জরায়ুমুখের ক্যানসারে, তাহলে তার মধ্যে একজন নিশ্চিতভাবে ভারতীয়ই হবেন। প্রতি বছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে ভারতে ২৩ শতাংশের মৃত্যু হয়

Advertisement

জরায়ুর একেবারে নীচের অংশকে বলে জরায়ুর মুখ বা ‘সার্ভিক্স অব দ্য ইউটেরাস’। এখানেই ক্যানসার হয়। জরায়ুর নীচের অংশ যোনির সঙ্গে সংযুক্ত। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) সংক্রমণ এখানেই হয়। যৌন সংসর্গের সময় এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এইচপিভি ভাইরাস শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙে তছনছ করে দেয়। বহুদিন অবধি টিকে থাকতে পারে এই ভাইরাস । জরায়ুর কোষের অস্বাভাবিক বিভাজন ঘটিয়ে ক্যানসার তৈরি করতে পারে। একেই সার্ভিকাল ক্যানসার বলে। জরায়ুমুখের ক্যানসার হচ্ছে কিনা তার কিছু সাধারণ উপসর্গ আছে। অনেক সময়েই মেয়েরা সেটা বুঝতে পারেন না। লক্ষণ চিনতে দেরি হয় বলেই থেরাপিও দেরিতে শুরু হয়। যে কারণে মৃত্যুহারও বেড়ে চলেছে।

Advertisement

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার  -এর রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বজুড়েই সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ওই বছরই গোটা বিশ্বে সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি মহিলার মৃত্যু হয়েছিল জরায়ুমুখের ক্যানসারে। এশিয়াতেই সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ শতাংশের বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কে বা একাধিক সম্পর্কে থাকলে জরায়ু-মুখের কোষগুলি পরিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনই ক্যানসারকে ডেকে আনে। অনেকক্ষেত্রেই যোনিতে সংক্রমণ হলে, লজ্জা ও অস্বস্তির কারণে রোগ এড়িয়ে যান মহিলারা। ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি হয়। ফলে চিকিৎসাও দেরিতে শুরু হয়। ক্যানসার তার অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। 

Advertisement