কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও রাজ্যপালদের সরকারি বাসভবনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা পিএমও-র নতুন নাম হবে ‘সেবা তীর্থ’। আর রাজ্যপালদের সরকারি বাসভবন ‘রাজভবন’-এর নতুন নাম হবে ‘লোকভবন’। সরকারের দাবি, এই নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব এবং মর্যাদা নয়, সেবার গুরুত্ব।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হবে এমন এক কর্মক্ষেত্র যা ‘সেবা’ বা ‘সেবার চেতনা’ প্রতিফলিত করবে। এখানে দেশের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। এই নামের মাধ্যমে প্রশাসনকে জনগণের প্রতি সেবার এক ‘তীর্থক্ষেত্র’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
Advertisement
রাজভবনগুলির নাম পরিবর্তন করে ‘লোকভবন’ করার মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, এটি শুধুমাত্র রাজ্যপালদের বাসভবন নয়, জনগণেরও ভবন। এর আগে মোদী সরকারের আমলে ‘রাজপথ’-এর নাম বদলে হয়েছে ‘কর্তব্য পথ’, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনের রাস্তার নাম হয়েছে ‘লোক কল্যাণ মার্গ’, এবং কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের নাম হয়েছে ‘কর্তব্য ভবন’। সেই ধারাবাহিকতাতেই পিএমও-র নাম হয়েছে ‘সেবা তীর্থ’ এবং রাজভবন হয়েছে ‘লোকভবন’।
Advertisement
সরকারের দাবি, প্রতিটি নতুন নামের পিছনে রয়েছে সহজ একটি ধারণা— সেবা করার জন্যই সরকার। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র নামের নয়, মানসিকতারও পরিবর্তন। সরকারের বক্তব্য, শাসনের মূল ভাষা হবে সেবা, কর্তব্য এবং নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া।
তবে নাম বদলের পেছনে মানসিকতার প্রকৃত পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন— প্রশাসনের সংস্কৃতি কি সত্যিই বদলাবে? সত্যিই কি সেবা প্রধান উদ্দেশ্য হবে, নাকি এটি জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর একটি কৌশল? এবং নাম বদলের মাধ্যমে মোদী সরকারের রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং চলছে কি না!
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘সেবা তীর্থ’ হচ্ছে, আর রাজভবন ‘লোকভবন’— এই পদক্ষেপ দেশবাসীর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তবে ভবিষ্যতই দেখাবে, নাম পরিবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য কতটুকু বাস্তবে কার্যকর হয়।
Advertisement



