নির্বাচনী প্রচারে প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতের ভৎসনার মুখে পড়ল। রাজনীতিকদের বিদ্বেষমূলক প্রচারের জেরে ভােটের আগে যে ভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তাতে নির্বাচন কমিশন থামাতে পারে বলে মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। অথচ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কমিশন কিছু করছে না বলে অভিযােগ তুলেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চায়, ‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বন্ধ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, নাকি ঘুমনাে? যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের হাতে ক্ষমতা সীমিত। লােকসভা নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন আচরণবিধি তােয়াক্কা না করে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক নেতারা। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মধ্যে। এনিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে সম্প্রতি। সেই সঙ্গে আবেদনে বলা হয়েছে, গােটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নজর রাখতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হােক। এই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ’র বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আদালতকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ‘এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা সীমিত। বিদ্বেষ ছড়ানাের অপরাধে আমরা কাউকে নােটিশ ধরাতে পারি না। শুধুমাত্র জবাব দিহি চাইতে পারি। কিন্তু কোনও দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের । কোনও প্রার্থীর মনােনয়নপত্র বাতিল করার ক্ষমতা নেই নির্বাচন কমিশনের। সতর্ক করা যেতে পারে। একই ঘটনা দ্বিতীয়বার হলে অভিযােগ দায়ের করা যেতে পারে মাত্র’।
Advertisement
পড়ুন । যোগী-মায়াবতীকে কড়া দাওয়াই কমিশনের
Advertisement
Advertisement



