উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ এবং বিরোধী দলনেত্রী বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর ভােট প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলাে নির্বাচন কমিশন। ভােটের প্রচারের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের জন্য যােগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীকে নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য তাদের প্রচারের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘন্টার জন্য যােগী আদিত্যনাথ প্রচার করতে পারবেন না। ওই একই সময় থেকে নিষেধাজ্ঞা আরােপিত হচ্ছে মায়াবতীর ওপর। মায়াবতীর সময় ৪৮ ঘন্টা। নির্বাচন কমিশনের নিষেধ বলবৎ থাকাকালীন কোনও পথসভা এবং জনসভা করতে পারবেন না দুই নেতা-নেত্রী। এমনকি সােশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন তাঁরা। আজই নির্বাচন কমিশনের ভৎসনার মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, না ঘুমিয়ে কর্তব্য পালন করুক কমিশন। এমনকি মায়াবতী এবং যােগীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। ২০১৪ সালে একইভাবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং সমাজবাদী নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে নােটিশ ধরিয়ে ছিল নির্বাচন কমিশন।
Advertisement
বসপা নেত্রী মায়াবতী সম্প্রতি দেওবন্দ জনসভায় মুসলিম ভােটারদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন কংগ্রেস এবং সপা-বসপা জোটের মধ্যে ভােট ভাগ হতে দেবেন না।
Advertisement
অন্যদিকে যােগী আদিত্যনাথ ধর্মীয় মেরুকরণের হাওয়া তুলে আলি এবং বজরংবলীর মধ্যে ভােট ভাগ না করে শুধুমাত্র বজরংবলীর ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস, সপা এবং বসপা আলির ওপর ভরসা রাখে তাহলে আমরা বজরংবলীর ওপর ভরসা রাখবাে’। এভাবে ধর্মের বিভাজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কোপের মুখে পড়লেন মায়াবতী এবং যােগী আদিত্যনাথ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পড়ুন । না ঘুমিয়ে কর্তব্য পালন করুন, কমিশনকে ভৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
Advertisement



