উর্ধ্বগতিতে করোনো, দেশে অ্যাকটিভ কেস ৪ হাজার পার

Written by Sunita Das December 25, 2023 6:02 pm

দিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর– নতুন বছরের উৎসবের মাঝে করোনার কালো ছায়া দেখা দিয়েছে দেশ জুড়ে৷ লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হার ফের ২০১৯-২১ দেখাবে কিনা তাই ভাবাতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের৷ ইতিমধ্যেই দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা পার করল ৪ হাজারের গণ্ডি৷
করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে৷ তারই মধ্যে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গেল৷ বর্তমানে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৷ ২৪ ঘণ্টা আগে যা ছিল ৩,৭৪২৷ প্রথম JN.1-এর হদিশ পাওয়া কেরলেই অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ একদিনে সেখানে অ্যাকটিভ কেস বেডে়ছে ১২৮৷ যার জেরে শুধু কেরলেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০০০ টপকে গেল৷
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে মারণ করোনা ভাইরাস কেডে়ছে একজনের প্রাণ৷ ফলে দেশে এখন পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা বেডে় হল ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩৪৷ যদিও এর কিছুটা হলেও অভয়বানী দিচ্ছে সুস্থতার হার৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩১৫ জন৷ তবে করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে মাথাব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ মহারাষ্ট্রের থানেতে গত ৩০ নভেম্বরের পর যে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচজনই JN.1 সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে খবর৷ তার মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও৷ যদিও কাউকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি৷
এ তো গেল করোনার বর্তমান পরিস্থিতি৷ এখন যেভাবে করোনা এগোতে শুরু করেছে তাতে সবার মধ্যেই এখন একটাই প্রশ্ন উঠছে, ফের বাধ্যতামূলক হতে চলেছে মাস্ক? ফের নতুন ভ্যাকসিন নিতে হবে কি? এসবের উত্তর দিতে গিয়ে ইন্ডিয়া-সার্স-সিওভি২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের প্রধান ড. এন কে অরোরা জানিয়েছেন, JN.1-এর সঙ্গে লড়তে কোনও আলাদা টিকা নিতে হবে না৷ বরং তিনি জোর দিয়েছেন সাবধানতায়৷ বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে অথবা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম করা ওষুধ খান তাঁদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এখনও পর্যন্ত সর্বত্র বাধ্যতামূলক না হলেও ভিড় এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷